সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গে ভোট প্রচারে এবার অবাঞ্ছিতভাবে সাধু-সন্ন্যাসীর প্রবেশ! নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে উঠল রাজনীতির বাকযুদ্ধ। এই ইস্যুতেই এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিয়ে কড়া সুরে আক্রমণ শানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, দম থাকলে মুসলিমদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কামারপুকুরের সভা থেকে বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করেন, ”সব সাধু সমান হন না। এই যে কার্তিক মহারাজ যিনি বলেন তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, তাঁদের আমি সাধু বলে মানি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন।” এর পরই নাম করে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, ইসকন মন্দিরের রাজনীতি যোগ নিয়ে তোপ দাগেন তিনি। সেই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা তোপ দেগে রবিবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himant Biswa Sarma) বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা রয়েছে মুসলিমদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করার? মুসলিমদের কোনও ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করতে পারবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? হিন্দু সেনার সন্ন্যাসীরা কখনও রাজনীতি করেন না। হিন্দু মহন্তরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন বলেই আপনি তাঁদের টার্গেট করছেন। মুসলিমদের বড় বড় ইমামরা রাজনীতি করেন এবং তাঁরা চাইলে আপনাকে আপনার কুর্সি থেকে টেনে নামিয়ে নিতে পারেন। যার জন্য তাঁদের বিষয়ে আপনার মুখ বন্ধ। রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা সারা দেশ ঘুরে মানুষের সেবা করেন, কিন্তু সন্দেশখালি ও শাহজাহানের বাইরে আপনি কী করেছেন?”
মমতাকে নিশানায় নিয়ে হিমন্ত আরও বলেন, ‘আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেটুকু ক্ষমতা রয়েছে তা শাহজাহানকে বাঁচাতে গিয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলায় যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে সন্দেশখালির ঘটনার পর তা আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।’ একইসঙ্গে বলেন, ‘সাধু সন্ন্যাসীরা রাজনীতি করছেন বলে যে অভিযোগ উনি করছেন তা ওনার পতনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সন্ন্যাসীদের যদি টাকা আয় করা উদ্দেশ্য হয় তাহলে তাঁরা ধর্মের পথ বেছে নিত না। উনি যা বলেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক মন্তব্য।’
রবিবার পুরুলিয়ার সভা থেকে এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে, তোষণ করতে তৃণমূল এত নিচুতে নেমেছে! বাংলার লাখ লাখ মানুষের ভক্তি, ভাবাবেগ নিয়ে এরা ভাবে না। স্বামী বিবেকানন্দ, প্রভুপাদ, প্রণবানন্দ মহারাজের অপমান দেশ সহ্য করবে না। যে সরকার বাংলার মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করে না, ভোটে তাদের সাজা দিন। যাতে ওরা আর সাধুদের অপমান করতে না পারে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.