সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগ সাধনা ভারতবর্ষের চিরায়ত ঐতিহ্য। তার বলেই বহু অসাধ্য সাধন করতে পারেন সন্ন্যাসীরা। সেই হিমালয়ান সন্ন্যাসীদের আশ্চর্য ক্ষমতা তাক লাগিয়েছিল হার্ভার্ডের একদল গবেষককে।
সাধুরা আশ্চর্য সব কাজ করতে পারেন। কিন্তু দিনের শেষ তাঁরাও একজন মানুষই। তাহলে কী করে তাঁরা আয়ত্ত করেন এই আশ্চর্য ক্ষমতা? এ নিয়েই একসময় কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলেন হার্ভার্ডের একদল বিজ্ঞানী। কাছ থেকে দেখে তাঁরা বুঝতে চেয়েছিলেন কী করে এই অসাধ্য সাধন করেন তাঁরা? আর শেষমেশ সেই পর্বেক্ষণে তাক লেগেছিল অধ্যাপক হার্বার্ট বেনসনের নেতৃত্বাধীন গবেষকদলের।
[ স্পেস স্টেশনের নতুন প্রজাতির নামকরণে কালামকে শ্রদ্ধা নাসার ]
মূলত, হিমালয়ের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের উপরই নজর রেখেছিল এই গবেষকদল। পৌঁছেছিলেন এক দুর্গম অঞ্চলের মনাস্ট্রিতে। তাঁরা দেখেছিলেন, এই সন্ন্যাসীদের অদ্ভুত নিয়ন্ত্রণ আছে তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর। এমনকী তাঁরা শরীরের তাপমাত্রা বা বডি টেম্পারেচারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। পুরো ঘটনাই নথিবদ্ধ করতে চেয়েচিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, এই সন্ন্যাসীরা প্রায় ১৭ ডিগ্রি পর্যন্ত শারীরিক তাপমাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারেন। এমনকী শরীরের মেটাবলিক রেটও কমাতে পারেন অন্তত ৬৪ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা দেখেন, স্ট্রেস রিডাকশন পদ্ধতিতেই এ কাজ তাঁরা করতে পারেন বলে খেয়াল করেন বিজ্ঞানীরা। সত্যি এরকমটা তাঁরা পারেন কিনা তা একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ পান বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা শুনেছিলেন, ভেজা কাপড়ও নাকি সাধুরা শরীরের তাপমাত্রা ব্যবহার করেই শোকাতে পারেন। কিন্তু হিমালয়ের মতো জায়গায়, ওই উচ্চতায় ও ঠাণ্ডায় তাও সম্ভব! দেখা যায়, কোনও সন্ন্যাসী যখন গভীর ধ্যানে মগ্ন হন, তিনি যেন সমস্ত শরীরী বোধ থেকে বিছিন্ন হয়ে যান। সেই সময় তাঁর গায়ে একেবারে কনকনে ঠান্ডা জলে ভেজানো কাপড় দিলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে না। রীতিমতো প্রশিক্ষণ ছাড়া যে এ কাজ সম্ভব নয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন হার্ভার্ড স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা। সে প্রশিক্ষণ সাধারণ কেউ পারে না। ওই ঠান্ডায় ওই উচ্চতায় কীভাবে এই অসাধ্যসাধন করতে হয়, তা গুরুদের থেকেই রপ্ত করেন সন্ন্যাসীরা। ধ্যান, অধ্যাত্মসাধনার মাধ্যমেই এই কায়দা আয়ত্ত করতে পেরেছেন তাঁরা।
[ বিজেপি-র দরজা খোলা, মোদির সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন রজনীকান্ত ]
এরপরই বেনসনের দাওয়াই ছিল ধ্যান। ভিনদেশে অধিকাংশ মানুষই স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদে আক্রান্ত। তা কাটাতে ধ্যানই যে একমাত্র অস্ত্র, এই সন্ন্যাসীরাই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.