সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেদিকে যতদূরে চোখ যায়, শুধুই সাদা বরফের পুরু আস্তরণ। ঘর-বাড়ি, গাছপালা, রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে যানবাহন, পাহাড়ের বুকে সবকিছুর রঙ এখন সাদা। তুষারাবৃত। যেদিকে, দু-চোখ যায় শুধুই বরফ। এই বরফস্নাত প্রকৃতিই এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ। একধাক্কায় পারদ নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের ২ ডিগ্রি নিচে। শনিবার এমনই পরিস্থিতির সাক্ষী থাকলেন হিমাচল প্রদেশের পর্যটকরা।
রোটাং পাসে মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয়ে গেল এদিন। জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডাও। গাড়ি চলাচলের অবস্থা আর নেই দেখে বন্ধ করে দেওয়া হল রোটাং পাস। মার্চের আগে আর খোলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৪০০ ফুট উচ্চতায় রোটাং পাসে গত বৃহস্পতিবার থেকেই গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। তবে শুধু তুষারপাতই নয়, হিমেল হাওয়া হাড় কাঁপাচ্ছে পর্যটকদের। কোথাও কোথাও আবার তুষারপাতের সঙ্গে সঙ্গে হয়েছে বৃষ্টিপাতও। তবে শুধু হিমাচলপ্রদেশই নয়, পারদ নেমেছে জম্মু-কাশ্মীর-সহ উত্তরের রাজ্যগুলিতে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শনিবার বরফের চাদরের নিচে ঢাকা পড়েছে ধুন্দি, স্পিতি ও লাহুল জেলা। সেই সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্যও বেগ পেতে হচ্ছে। বরফ না কাটলে গাড়ি এগনোর অবস্থা নেই। শুক্রবার মানালির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৬ ডিগ্রি থাকলেও আজ, শনিবার তা আরও কমেছে। রাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টি অথবা তুষারপাত অব্যাহত থাকবে। স্পিটিতে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত।
যাঁরা এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁদের অবশ্য পোয়াবারো। কুলু-মানালি বা স্পিটিতে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। হোটেল মালিকরাও উৎসাহিত। শীতে কুলু জেলায় তুষারপাত প্রচুর পর্যটক টেনে আনবে বলে তাঁদের আশা। তবে মানালি, সোলাং ভ্যালি, গুলাব বা মারহিতে বৃষ্টি হলেও বরফ পড়েনি। কুলু-মানালি হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গজেন্দ্র ঠাকুর বলছেন, রোটাং পাসে তুষারপাত পর্যটকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবে। কুলু, কিন্নরে এই নিয়ে তিন দিন টানা তুষারপাত হচ্ছে। ছাতা মাথায় অনেকেই তুষারপাত উপভোগ করেছেন। সেই সঙ্গে দেদার সেলফি তোলাও চলেছে।
দেখুন ভিডিও:
#WATCH: Scenes of snowfall in #HimachalPradesh‘s #Dhundi pic.twitter.com/hALODt1cFY
— ANI (@ANI) November 18, 2017
তবে নতুন করে রোটাং পাস যাওয়ার উপায় আপাতত নেই বলে অনেকের মন খারাপ। অত্যাধিক তুষারপাত অনেকক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করেছে। বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন। বরফ পড়ে বহু জায়গায় বন্ধ রাস্তাঘাট, বিপর্যস্ত জল সরবরাহ। যা পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা সকলের কাছেই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা তৈরি বলে জানিয়েছে হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.