নিজস্ব চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের সংকট কেটেও যেন কাটছে না। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর (Sukhvinder Singh Sukhu) উপর চাপ বাড়াতে এবার বিদ্রোহী ৬ বিধায়ককে দলে ফেরানোর চেষ্টা শুরু করলেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের (Virbhadra Singh) ছেলে বিক্রমাদিত্য। সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষে যে ৬ বিধায়ক ‘ক্রসভোট’ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন হিমাচলের ওই ‘বিদ্রোহী’ মন্ত্রী।
সরকার বাঁচাতে বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী ওই ৬ বিধায়ককে বরখাস্ত করেছেন রাজ্যের স্পিকার কুলদীপ সিং পাথানিয়া। ফলে রাজিন্দার রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দার দত্ত লখনপাল, দেবিন্দর কুমার ভুটু, রবি ঠাকুর এবং চেতন্য শর্মা এই মুহূর্তে রাজ্যের বিধায়ক নন। যদিও স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই ছয় বিধায়ক। তবে তাঁদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। কিন্তু ঘটনা হল, ওই ৬ বিধায়কই দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি এবং বীরভদ্র পরিবারের ঘনিষ্ঠ।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বীরভদ্র সিংয়ের পরিবারের ইশারাতেই ওই ৬ বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেন। পালটা চালে সুখু ওই ছয় বিধায়কের পদ বাতিল করে দেওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বীরভদ্র শিবির। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভা সিং (Pratibha Singh) চাইছেন ওই ছ’জনকে যেনতেন প্রকারে দলে ফেরাতে। মজার কথা হল, ওই বিদ্রোহীরা যখন হরিয়ানায় ‘লুকিয়ে’ ছিলেন তখনই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বীরভদ্রর পুত্র বিক্রমাদিত্য। এখন তিনিও ওই বিধায়কদের দলে ফেরানোর দাবিতে সরব।
কংগ্রেস (Congress) এই মুহূর্তে উভয় সংকটে। একদিন আগেই ঘটা করে বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে, তাঁদের হঠাৎ করে ফিরিয়ে নিলে দলে ভালো বার্তা যাবে না। এসবের মধ্যে আবার বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর হুঙ্কার দিয়েছেন, “সুখুর সরকারের স্থায়িত্ব বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে কোনওদিন সকালে উঠে হয়তো দেখলেন তাঁর সরকার পড়ে গিয়েছে।” পরক্ষণেই অবশ্য তিনি অবস্থান বদলে বলে গিয়েছেন, “সরকার যদি টিকেও যাও। সেই সরকার মসৃণভাবে চলবে না। কারণ এই টানাপোড়েনে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.