সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশ কার্যত হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) ডুব দিতে। ধর্মীয় বিশ্বাসের এক অপার সমুদ্র হয়ে উঠেছে প্রয়াগরাজ। তবে রিপোর্ট বলছে, ‘মিনি ভারতবর্ষ’ হিসেবে পরিচিত এই পুণ্যতীর্থে আস্থার ডুব রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সঙ্গমের দূষিত জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার। খোদ মোদি সরকারের তরফেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে এই রিপোর্ট। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই রিপোর্ট হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আস্থায় এবার বিরাট ধাক্কা।
সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। যে রিপোর্টে কেন্দ্রের তরফে আশঙ্কা করা হয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা চলাকালীন সেখানকার নদীর জলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি ওখানকার নদীর জল পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিম্যান্ড (বিওডি)-এর নিরিখে ওই জল স্নানের অনুপযুক্ত। পাশাপাশি ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপক উপস্থিতির দিক থেকেও এই জন স্নানের অনুপযুক্ত। বিশেষ করে শাহি স্নানের দিনগুলিতে এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। কেন্দ্রের এহেন রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তলব করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। বুধবার ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে বলা হয়েছে এই দপ্তরের আধিকারিকদের।
একদা কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন এজলাস এই মামলা খতিয়ে দেখছে। সেখানেই গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই রিপোর্ট পেশ করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এর ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তলব করার পাশাপাশি প্রশাসন দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পরিবেশ আদালতের তরফে। উল্লেখ্য, জল দূষিত হচ্ছে কিনা তা বোঝা যায় জলে ফিকাল কলিফর্ম ব্যাটরেরিয়ার উপস্থিতি খতিয়ে দেখে। হিসেব অনুযায়ী, ১০০ মিলিমিটার জলে সর্বোচ্চ ২৫০০ ফিকাল কলিফর্ম ব্যাটরেরিয়া থাকতে পারে। যদি তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখা যায় তবে সেই জল স্নানের অনুপযোগী। কিন্তু মহাকুম্ভের জলে ঠিক কত পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.