Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিল্লি হিংসা

বিচারপতি মুরলীধরের বদলির জের? প্রায় দেড় মাস পিছোল দিল্লি হিংসা মামলার শুনানি

হিংসার ঘটনায় দুটি 'সিট' গঠন করল দিল্লি পুলিশ।

High Court on Thursday adjourned the hearing in Harsh Mander’s plea
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 27, 2020 7:48 pm
  • Updated:February 27, 2020 7:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজকর্মী হর্ষ মন্দারের করা দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলার শুনানি প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে দিল হাই কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ এপ্রিল। দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে মামলাটি করেছিলেন হর্ষ মন্দার (Harsh Mander)। বৃহস্পতিবার এই মামলাটি শোনেন দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল (DN Patel) এবং বিচারপতি সি হরিশংকর (C Hari Shankar)। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রকেও মামলার বিবাদী পক্ষে শামিল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত চেয়ে নোটিস দিয়েছে।

DELHI-HC-JAMIA
উল্লেখ্য, বুধবার দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। উসকানিমূলক মন্তব্য করার পরও চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি এস মুরলীধর। পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলেন, দেশে আরেকটি চুরাশির দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। ভরা আদালতে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রর একটি ভিডিও ক্লিপও চালানোর নির্দেশ দেন। দুপুরে আদালতে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করার পর রাতেই বিচারপতি মুরলীধরকে বদলি করে দেওয়া হয় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাই কোর্টে। ভেঙে যায় মামলার শুনানির জন্য গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে শুনানি হয় বৃহস্পতিবার। নতুন ডিভিশন বেঞ্চে দিল্লি পুলিশ জানায়, এখনও পর্যন্ত চারদিনে মোট ৪৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উসকানিমূলক মন্তব্য করা চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা এখনই সম্ভব নয়। সেজন্য সময় লাগবে। এরপরই মামলার শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল ঠিক করেন বিচারপতিরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লির অশান্তির আঁচ থেকে রেহাই পেল না স্কুলও, পুড়ে ছাই বইখাতা থেকে লকাররুম]

এদিকে, আদালতে লাগাতার ভর্ৎসিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছে দুটি পৃথক বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। প্রতিটি সিটে আছেন চারজন করে এসিপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। দুটি তদন্তকারী দলেই থাকছেন ১২ জন করে ইন্সপেক্টর। পুলিশ ইতিমধ্যেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এবং তৎপরতার সঙ্গে তদন্তের কাজ চলছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement