সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি দুর্নীতি মামলায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গিয়েও স্বস্তি মিলল না। মঙ্গলবার রাজ্যপালের নির্দেশ বহাল রেখে হাই কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের।
সম্প্রতি জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সূত্রে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ায় এই মামলায়। শনিবার এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, রাজ্যপালের নির্দেশ সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’। তাঁকে এবং রাজ্য সরকারকে বদনাম করাই প্রধান উদ্দেশ্য।
গত ১৯ আগস্ট থেকে হাই কোর্টে ৬ বার এই মামলার শুনানি হয়েছে। মাঝে সিদ্দারামাইয়া রক্ষাকবচও দেওয়া দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের একক বেঞ্চ। যার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব ছিল না। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, সাধারণত মন্ত্রিসভার পরামর্শ নিয়ে কাজ করাই রাজ্যপালের কর্তব্য। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। এবং যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবেই উল্লেখ করেন বিচারপতি। আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপালের নির্দেশ কোনওভাবেই বেআইনি নয়।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। এর জেরে কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.