সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের হাই অ্যালার্ট জারি হল পাঠানকোটে। সেনাঘাঁটির আশেপাশে ফের ২-১৬ সালের মতো হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় গোটা এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত, এলাকায় চার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর অনুপ্রবেশ থেকে। মঙ্গলবার রাতে ওই চার দুষ্কৃতী জম্মু থেকে একটি গাড়ি (SUV) ভাড়া করে পাঠানকোটের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই মাঝরাস্তায় চালককে বন্দুক দেখিয়ে গাড়িটি অপহরণ করে নেয় তারা। তারপর থেকেই গোটা এলাকায় সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে।
A taxi driver picked 4 ppl from Jammu station&was travelling to Pathankot. But in Madhopur, those 4 people threw the driver out&absconded with his vehicle. We have alerted all entry points in the state: A Singh, Punjab police, on 4 people fleeing with a car from Punjab’s Madhopur pic.twitter.com/U2a1vnhOpL
— ANI (@ANI) November 14, 2018
মঙ্গলবার রাতে জম্মু থেকে ওই এসইউভিটি ভাড়া করে চার দুষ্কৃতী। পাঠানকোটের পথে মাধোপুর এলাকায় হঠাৎ বমি হওয়ার অজুহাতে গাড়ি থামাতে বলে চারজনের একজন। চালক গাড়ি থামাতেই তাঁকে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানো হয়। চালককে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় চার দুষ্কৃতী। এরপরই পুলিশের কাছে যান ওই এসইউভির চালক। এরপরই সেনাঘাঁটিতে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়ে। ২০১৬-র ধাঁচে নতুন করে সেনাঘাঁটিতে হামলা হতে পারে বলেও খবর মেলে গোয়েন্দা সূত্রে। গোটা এলাকায় জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট।
২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা গুলির লড়াইয়ে মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। একজন সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়। নিকেশ হয় ৬ হামলাকারী। সেই হামলার ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি ভারতবাসী।পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর মদতেই ওই হামলা হয়েছিল, তা কার্যত জলের মতো পরিষ্কার। তবে, এখনও মূল অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই পুনরায় এই ধরণের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর সেকারণেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.