সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি উড়ে এলেন হেলিকপ্টারে। সবুজ শিফন শাড়ি উড়িয়ে নামলেন ধানমাঠে। আল ধরে, আলগোছে শাড়ি বাঁচিয়ে পৌঁছলেন পাকা ধানের ক্ষেতে। তারপর কৃষিকন্যাদের সঙ্গে হাত থেকে কাস্তে নিয়ে শুরু করলেন ফসল কাটার ‘অভিনয়’-মথুরার বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনীর প্রচার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই সব ‘কুকথা’ উঠছে। কেউ অভিনয় বলছেন, তো কেউ ভোটের আগে আর ভোটের পরের ছবি দিয়ে তৈরি করছে হেমা মালিনীর ‘মিম’। যাকে বলে ব্যঙ্গচিত্র। আর এই ব্যঙ্গকারীদের তালিকায় অংশ নিচ্ছেন ওমর আবদুল্লার মতো দুঁদে রাজনৈতিক নেতারাও।
সম্প্রতি তিনি হেমা মালিনীর ট্রাক্টরে চড়ে জয়ের চিহ্ন দেখানো একটি ছবি প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছেন, আরে! ট্রাক্টরের আসনের দু’পাশে ড্রামের মতো দেখতে ও’দু’টো কী? প্লিজ বলবেন না ওগুলো ঠান্ডা বাতাস তৈরির জেনারেটর।” মথুরা লোকসভা কেন্দ্রের গোবর্ধন গ্রামে ভোটের প্রচারে এসে ট্রাক্টরে চেপে ছবি তুলেছিলেন হেমা মালিনী। মাঠের চড়া রোদ থেকে বাঁচতে পরেছিলেন রোদ চশমা। সেই ছবি দেখেই ওমর আবদুল্লার ইঙ্গিত হেমা মালিনী গরম থেকে বাঁচতে ট্রাক্টরের দু’পাশে দু’টি এয়ার কুলারও রেখেছেন। “ওয়াও, দ্যাটস ওয়ান ফ্যান্সি ট্রাক্টর!” এরপরেই মন্তব্য আবদুল্লার। অর্থাৎ ‘অসাধারণ, ট্রাক্টরের শৌখিন সংস্করণ।’
[ আরও পড়ুন: ‘সবেতেই নেহেরুকে দোষ দিচ্ছেন, নিজে কী করলেন?’ মোদিকে কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কার ]
নিন্দুকদের এই মন্তব্যে অবশ্য কর্ণপাত করতে রাজি নন হেমা। তিনি বলেছেন, “হ্যাঁ। আমি অভিনেত্রী। আর অভিনয় যদি করেও থাকি তবে ক্ষতি কী? তাতে তো কেউ দুঃখ পাননি? বরং বিষয়টি থেকে আনন্দই নিয়েছেন। মুম্বইয়ে আমার প্রচারের ওই ছবিগুলো দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। এমনকী আমার স্বামী ধর্মেন্দ্রজিও বলেছেন, ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।”
মথুরায় ভোট ১৮ এপ্রিল। সেখানকার গ্রাম শহরের রাস্তায় মাঝে মধ্যেই মার্সিডিজ গাড়িতে চড়ে প্রচারে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী হেমা মালিনীকে। অত্যাধুনিক এসইউভি গাড়ির ছাদের সূর্যকাচ সরিয়ে সেখান দিয়ে মাথা গলিয়ে প্রচার করছেন তিনি। এক হাতে কাগজের পদ্মফুল। অন্য হাতে মাইক। চোখে বড় রোদ চশমা। আর মাথার উপর বড় ছাতা। যেটি সমানে ধরে রয়েছেন গাড়ির পিছনের কাচ থেকে শরীরের অর্ধেকটা বের করে থাকা এক সহকারী। গোটা গাড়ি গোলাপে সাজানো। যদিও হেমার বক্তব্য ‘‘রাজনীতিতে সাফল্যের রাস্তা মোটেই গোলাপে সাজানো নয়।’’ তাই তাঁর বিরুদ্ধে যতই ‘এলাকার বাইরের সাংসদ’ বলে সুর চড়াক বা পাঁচ বছরে একবারও মথুরা না আসার অভিযোগ তুলুক, তিনিও পরিসংখ্যান নিয়ে প্রস্তুত। সমালোচকদের কখনও বলছেন ২৫০ বার মথুরায় এসেছি। কখনও বলছেন কোটি কোটি টাকা রাস্তার উপর ব্যয় করেছি। এমনকী বাইরের সাংসদ বলা নিন্দুকদেরও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বৃন্দাবনে তাঁর বাড়ি রয়েছে। তাই তাঁকে এলাকার বাইরের লোক মোটেই বলা যাবে না।
[ আরও পড়ুন: তাজমহলে দাঁড়িয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান যুবকের, ভাইরাল ভিডিও ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.