হেমা মালিনী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর লোকসভা কেন্দ্র মথুরার বাঁদররা তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দেওয়া ম্যাঙ্গো ফ্রুটি. সিঙাড়া ও কচুরি খাচ্ছে। এর ফলে শুধু তাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনেও প্রভাব ফেলছে। বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্যই করলেন উত্তরপ্রদেশের মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই হাসির রোল ওঠে বৃহত্তম গণতন্ত্রের লোকসভায়। যার জেরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে দেখা যায় নায়িকা থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া এই বলিউড অভিনেত্রীকে।
বৃহস্পতিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের অসুবিধার কথা বলতে গিয়ে পথের বাঁদরদের বাঁদরামির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে এর জন্য মথুরা ও বৃন্দাবনে আসা পর্যটকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘বাঁদরদের নিরাপত্তার জন্যই মথুরায় ‘মাঙ্কি সাফারি’ চালু করার দাবি জানিয়েছি আমি। এর পাশাপাশি জঙ্গলে বাঁদরদের জন্য ফলের গাছও লাগাতে হবে। না হলে মানুষের মতো খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে এখানকার বাঁদররা। যা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে তারা এখন আর ফল খেতে চাইছে না। তার বদলে সিঙাড়া আর ফ্রুটির উপর তাদের ঝোঁক রয়েছে।’
তার আগে সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হেমা মালিনী বলেন, ‘বৃন্দাবনের বাঁদরদের খাদ্যাভ্যাস বদলে গিয়েছে। লোকের বাড়িতে ঢুকে খাবারের সন্ধান করছে। যারা ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ খুব সমস্যায় পড়ছেন। এর পাশাপাশি বাঁদরদের নিবীর্যকরণের প্রক্রিয়া তাদের আরও হিংস্র করে তুলেছে। তাদের আক্রমণে বৃন্দাবনের প্রচুর মানুষ জখম হয়েছেন। অনেকে মারাও গিয়েছেন। তাই আমার মনে হয় সেখানে মাঙ্কি সাফারি চালু হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। এই বিষয়টি হালকা ভাবে না নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলেই আমি মনে করি।’
বিজেপি সাংসদের মন্তব্যকে অনেকে কটাক্ষ করলেও সংসদে তাঁর পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৃন্দাবন ঘোরার সময় আমারও একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মন্দির শহরে ঢোকার পরে সবে এক-দু’পা এগিয়েছি। আচমকা মনে হল আমাকে যেন কেউ স্পর্শ করল। এরপর লক্ষ্য করলাম আমার চোখে চশমা নেই। যা আমার কাছে প্রথমে অবিশ্বাস্য লেগেছিল। পরে ওই বাঁদরটিকে ফ্রুটি দিয়ে নিজের চশমা ফেরত পাই।’
#WATCH: Hema Malini, BJP MP from Mathura: I’ve demanded a Monkey Safari (in Mathura) for safety of monkeys.Also,there should be fruit bearing trees in forests.Monkeys have picked up food habits of humans which is not healthy for them.They don’t want fruits now,but samosa & fruity pic.twitter.com/F6TXhfH1ll
— ANI UP (@ANINewsUP) November 21, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.