সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধূ ধূ প্রান্তর ঢাকা পুরু বরফে। কোথাও কোথাও বরফের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে পাতা ঝরে যাওয়া ন্যাড়া গাছ। যেদিকে চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ। দেখলে মনে হবে এ যেন হিমাচল প্রদেশের মানালি বা কাশ্মীরের গুলমার্গ। কিন্তু না। এমন দৃশ্য মরুরাজ্য রাজস্থানের। রাজ্যের নাগৌর ঢেকে গিয়েছে পুরু বরফের চাদরে।
একেই বলে প্রকৃতির খেয়াল। মাত্র ২০ মিনিটের শিলাবৃষ্টি। আর তার ফলেই তুষারে ঢাকল রাজস্থানের নাগৌর। এলাকার যে ছবি ও ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে নেটদুনিয়ায় তা দেখলে যে কোনও মানুষের চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। যে মরুশহরে জলের দেখা পাওয়াই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেখানে কিনা মেরুপ্রদেশের অনুভূতি! কিন্তু বৃহস্পতি ও শুক্রবার চেহারা বদলে গিয়েছে রাজস্থানের নাগৌরের। কিন্তু মরুরাজ্যের এমন পরিস্থিতি কেন?
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গঙ্গানগরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এই এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবারও বৃষ্টি চলেছে। গঙ্গানগর-সহ পিলানি, সাওয়াইমাধোপুর ও জয়পুরেও বৃষ্টি হয়েছে। পিলানিতে ১২.২ মিলিমিটার, সাওয়াইমাধোপুরে ১০ মিলিমিয়ার ও জয়পুরে ৯.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। চারু ও বিকানিরে বৃষ্টি হয়েছে ৮.৪ মিলিমিটার। রাজস্থানের অন্যান্য এলাকাতেও কমবেশি ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর এর ফলেই মেনে গিয়েছে তাপমাত্রা। বিভিন্ন এলাকায় রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজস্থানের সিকারে পারদ নেমেছে সবচেয়ে বেশি।
নাগৌর ও তার আশপাশের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তার ফলে বরফে ঢেকে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ছাপরি, মৌসলার, কিচকেও প্রচুর শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বরফ জমেছে সেখানেও। বাড়ির ছাদ ও রাস্তাঘাটে পুরু বরফের আস্তরণ তৈরি হয়েছে। তবে এর ফলে ক্ষতি হয়েছে চাষবাসে। প্রচুর শস্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই এলাকায় তুষারপাতের ঘটনা এই প্রথম। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে রবিবার পর্যন্ত এলাকাগুলিতে ঘন কুয়াশা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.