Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভগবানও ঠান্ডায় কাঁপছেন! হিটার বসল অযোধ্যার মন্দিরে

ঠাণ্ডায় কাঁপা পথশিশুদের জন্য এই ব্যবস্থা নয় কেন, প্রশ্ন নেটিজেনদের একাংশের।

Heater Installed for the comfort of God in Ayodhya Temple
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 24, 2017 9:39 am
  • Updated:December 24, 2017 3:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়বে না পড়বে না করেও শীতকাল এসে গিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের দাপটে যদিও তা বেশ ব্যাকফুটে। কিন্তু কখনও সখনও উত্তুরে হাওয়া বেশ কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। ফলে ঘরে ঘরে বেরিয়ে পড়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, পুলওভার। কিন্তু ভগবানের কী হবে? মানে দেবমূর্তিরও তো ঠান্ডা লাগতে পারে। অগত্যা মন্দিরেই বসানো হল হিটার।

লোকাল ট্রেনে এসি! দেশে প্রথম আরামের যাত্রা মুম্বইয়ে ]

Advertisement

ঘটনা অযোধ্যার জানকি ঘাট বড়া স্থান মন্দিরে। সেখানে দেবতার আরামের বন্দোবস্তের জন্য মন্দিরেই হিটার লাগানো হয়েছে। সংসবাদসংস্থা এএনআই-কে মোহন্ত জনমেজয় সারন জানিয়েছেন, ভগবানের আরামের জন্যই এই ব্যবস্থা। দেশের বহু মন্দিরেই দেবমূর্তির আরামের বন্দোবস্ত করা হয়। নিত্যসেবা যেখানে চালু আছে, সেখানে প্রতিদিন পোশাক পালটানো থেকে বিগ্রহকে শোয়ানো পর্যন্ত হয়। শীতের সময় বিগ্রহের গায়ে উলের পোশাক দেওয়ার রেওয়াজও আছে বহু মন্দিরে। এমনকী ছোট খাটে মশারি পর্যন্ত টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কেননা মূর্তির মধ্যেই দেবতার অধিষ্ঠান বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। বারোয়ারি পূজোতেও মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর, তা আর নিছক মূর্তি থাকে না বলেই বিশ্বাস করা হয়। নানা অলৌকিক কাহিনিও এ বিষয়ে শোনা যায়। নিত্যসেবার বিগ্রহকে তাই পরিবারের একজন হিসেবেই ধরা হয়। সেভাবেই খাওয়ানো, শোয়ানো বা পোশাক বদলানোর পালা চলতে থাকে। কিন্তু ভগবানের আরামের জন্য আস্ত হিটার বসেছে মন্দিরে, এমনটা বড় একটা শোনা যায় না। এই মন্দির সেই ব্যতিক্রমী কারণেই খবরের শিরোনামে। মোহন্ত জানিয়েছেন, দেবতার জলাভিষেকও এখন ঠাণ্ডা জলের পরিবর্তে গরম জলে হচ্ছে।

যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যেখানে দেশের প্রান্তে প্রান্তে পথশিশুরা ঠান্ডায় কাঁপছে, সেখানে দেবতার জন্য এই আয়াসের ব্যবস্থা কেন? কেন এই অর্থ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য কাজে লাগানো হয় না, সে প্রশ্নও উঠেছে? যদিও এতে অবশ্য বিশ্বাসে টোল পড়ছে না। এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে রাম লালার মূর্তির জন্য কম্বল ও হিটার চাওয়া হয়েছিল। মূর্তির যাতে ঠাণ্ডা না লেগে যায়, সে কারণেই এই দাবি ছিল। সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, ভগবান রামকে কোটি কোটি দেশবাসী পূজা করেন। সেই রামের ভালমন্দের দিকে লক্ষ্য রাখার দায়িত্বও তাই ভক্তদেরই।

বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে শেহবাগের ‘হিরো’ হয়ে উঠল এই কিশোর ]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement