সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের শহিদ হয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ান মুকুট বিহারী মিনা৷ রবিবার, তাঁর কফিনবন্দি মরদেহ এসে পৌঁছায় রাজস্থানের ঝালওয়ার জেলার লাদানিয়া গ্রামে। শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে কান্নায়। শহিদের বাড়িতে এসে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জনিয়ে যান প্রতিবেশী থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে, সকলকে পিছনে ফেলে দিল শহিদ জওয়ানের মেয়ে অরু। বাবাকে খুব একটা কাছে পায়নি সে। তাই শেষযাত্রায় কোনমতেই যেন তাকে বাবার থেকে আলাদা করা গেল না। বাবার কফিনকে আঁকড়ে ধরে রইল পাঁচ মাসের মেয়েটি। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে রইল সেখানে উপস্থিত সকলে।
[কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে তিন তালাক, পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা]
বাবার প্রতি শিশুটির এই স্নেহ ও ভালবাসাকে একটি অনবদ্য চিঠির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্ত করেছেন ঝালওয়ারের জেলাশাসক জিতেন্দ্র সোনি। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘তুমি বাবার মুখ দেখলে, তারপর বাবার কফিনের উপরে বসে রইলে৷ সেখানে উপস্থিত আমরা সকলে বিষটি অবাক চোখে দেখলাম৷ তোমার সরলতা ও বাবার প্রতি ভালবাসা দেখে আমরা সকলেই নিজেদের কথা ভাবছিলাম৷’
[স্ত্রী ছেড়ে গিয়েছে, অভিমানে নিজেকে বিস্ফোরণে ওড়ালেন স্বামী]
এখানেই শেষ নয়, জেলাশাসক আরও লেখেন, ‘কেবল এই অঞ্চল নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে তোমার সঙ্গে৷ তুমি এগিয়ে যাও৷ ভালভাবে বেড়ে ওঠো৷ তোমার বাবার আত্মবলিদানকে, নিজের কাজের মাধ্যমে অহংকারে পরিণত করো৷’ ইতিমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে জেলাশাসকের এই চিঠি৷ ছোট অরুর কীর্তি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন সকলে৷ ওই দিন শহিদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন, জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা৷ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় তাঁকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.