সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শচীন পাইলট (Sachin Pilot) বনাম অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) লড়াই এবার গড়াল আদালত পর্যন্ত। বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশীর (CP Joshi) দেওয়া বিধায়কপদ খারিজের নোটিসের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পাইলট এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু সেখানেও বিবাদের কোনও সুরাহা এখনও হয়নি। নিজেরাই মামলার দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়ে আবার নিজেরাই পিছিয়ে এলেন পাইলট শিবিরের আইনজীবীরা। এদিন আদালতে নিজেদের করা আবেদনপত্রে সংশোধনের জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় পাইলট শিবির। কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয় শুনানি।
বুধবার রাতেই পাইলট-সহ মোট ১৮ জন বিধায়ককে বিধায়ক পদ খারিজের নোটিস পাঠান বিধানসভায় স্পিকার তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা সি পি যোশী। হুইপ জারি হওয়া সত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে হাজির না হওয়ায় নোটিস পাঠানো হয় বিধায়কদের। দু’দিনের মধ্যে মিটিংয়ে অনুপস্থিতির যোগ্য কারণ না দেখানো হলে তাঁদের বিধায়ক পদ বাতিল হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয় নোটিসে। কিন্তু পাইলট শিবিরের দাবি, এভাবে নোটিস পাঠানো বেআইনি। বিধানসভার অধিবেশন ছাড়া আর কোথাও দলীয় হুইপ কার্যকর হয় না। তাই তাঁদের বিধায়কপদ বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। স্পিকারের পাঠানো নোটিসের বিরুদ্ধে পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা এদিন রাজস্থান হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মজার কথা হল, নিজের হয়ে মামলা লড়ার দায়িত্ব এমন দু’জন আইনজীবীকে পাইলট দিলেন, যারা কিনা এই বিজেপির আমলেই সরকারি আইনজীবী ছিলেন। একজন মুকুল রোহতগি, অপরজন হরিশ সালভে। অন্যদিকে রাজস্থানের স্পিকারের হয়ে মামলা লড়ছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আইনজীবী নির্বাচন দেখেই বোঝা যায়, পাইলট কোন শিবিরে ঝুঁকে। যদিও পাইলট শিবির সূত্রের দাবি, তাঁরাই আগে সিংভিকে মামলা লড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
Abhishek Manu Singhvi to represent Rajasthan Assembly Speaker at the High Court. The matter will be heard at 3 pm today. https://t.co/6qqAJ3kgtk
— ANI (@ANI) July 16, 2020
তবে, কংগ্রেস কিন্তু এখনও পাইলটের ফেরার আশা ছাড়েনি। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দুজনেই তাঁকে বুঝিয়ে শুনিয়ে দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। প্রিয়াঙ্কা নাকি নিজে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি ভেনুগোপাল এবং সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব আহমেদ প্যাটেলকে অনুরোধ করেছেন, পাইলটের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু পাইলট শিবির যেভাবে রণং দেহি মূর্তিতে আদালতে গেলে, তাতে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা। এসবের মধ্যে আবার শোনা যাচ্ছে, পাইলটের অনুগামীরা হরিয়ানার যে হোটেলে আছেন, সেখানে আরও কয়েকটা ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে । কংগ্রেসের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে সেই পদক্ষেপও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.