সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বন্ধ উৎপাদন। তাই বিদেশে অ্যান্টি টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা (TB) ওষুধের রপ্তানিও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। কারখানাগুলিতে কাজ করার লোক না থাকায় কাঁচামাল থাকা সত্ত্বেও বন্ধ রয়েছে উৎপাদন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO)-এর মতে যক্ষ্মা একটি সংক্রামক ব্যাধি। ১৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক প্রীতি সুদানের মতে, “জরুরী পরিস্থিতিতে কাঁচামালের উপস্থিতি যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও কম পরিমানে লোক কাজ করতে আসায় এপিআই-এর কাছে ওষুধের জোগান কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছে ভারত।” ভারতের সবথেকে বড় ওষুধ মজুতকারী সংস্থা হল এপিআই (API) যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে টিবিও ওষুধ রপ্তানি করা বন্ধ করতে অনুরোধ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক প্রীতি সুদান। ভারতের মধ্যে ম্যাকলেওডস ফারমা (Macleods Pharma) ও লিউপিন (Lupin) নামে এই দুই সংস্থা সবথেকে বেশি পরিমাণে টিবিও ওষুধ নির্মাণ করে থাকে। গুজরাটে মধ্যে ভারুচ ও আঙ্কলেশ্বর, হিমাচলপ্রদেশের মধ্যে বাড্ডি এবং দমনে এই ওষুধ নির্মানের কারখানাগুলি রয়েছে। তবে ওষুধ রপ্তানিতে নিষেধ করলেও কাঁচামাল সংগ্রহ ও নির্মাণকারী সংস্থাগুলিতে যাতে তা সহজেই পৌঁছে দেওয়া য়ায় তাঁর ব্যবস্থা করা হয়।
গত মাসেই সরকারের তরফ থেকে ১১টি দল গঠন করা হয়। যাঁরা করোনা আবহে বিপর্যয় মোকাবিলা করবে ও যেকোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। সেই দলেরই প্রতিনিধি হয়ে প্রীতি সুদান টিবির ওষুধ রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। করোনা আবহে অন্য দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রথমে নিজেরে দেশে সমস্ত পরস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি রাখা সবার আগে দরকার। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.