Advertisement
Advertisement

Breaking News

শীর্ষকর্তাদের অনুপস্থিতিতে দিশেহারা সিবিআই, থমকে মালিয়া-চোকসিদের তদন্ত

সিবিআই কার্যত জড়ভরত!

Headless CBI Struggles in Crucial Cases
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 14, 2018 10:43 am
  • Updated:November 14, 2018 10:43 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই কর্তাদের অপসারণের প্রভাব এবার সরাসরি পড়তে শুরু করল তদন্তে। ডিরেক্টর অলোক ভার্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার অনুপস্থিতিতে শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা কার্যত দিশেহারা। যার জেরে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, মোহুল চোকসিদের মতো বড় বড় ঋণখেলাপীদের তদন্তের কাজে, এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। সিবিআইয়ের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, শীর্ষ দুই আধিকারিকের অনুপস্থিতিতে কোনও আধিকারিকই আর নতুন করে দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। সূত্রের খবর, বেশ কিছু পুরনো মামলার অগ্রগতিও কার্যত থমকে গিয়েছে।

[মহাজোটের রণকৌশল রচনায় মমতার সাহায্য নিতে কলকাতায় চন্দ্রবাবু]

একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভার্মা-আস্থানাদের অনুপস্থিতি এখন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা অথৈ জলে। আগামী মাসের ১০ তারিখ লন্ডনে বিজয় মালিয়ার প্রত্যার্পণ মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও ঠিকই করে উঠতে পারেনি, দুই শীর্ষকর্তার অনুপস্থিতিতে ওই শুনানির দিন সিবিআইয়ের প্রতিদিধি কে হবেন। শুধু মালিয়া-মামলা নয়, অনেক মামলার ক্ষেত্রেই আধিকারিকরা নতুন করে কোনওরকম সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। আরও এক ঋণখেলাপি মেহুল চোকসির সম্পর্কে সিবিআইয়ের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেয়েছে ইন্টারপোল। কিন্তু সিবিআই সেই সব তথ্য দিতে পারেনি, এই একই কারণে। ইন্টারপোলের এক আধিকারিক বলছেন, চোকসি ভারতীয় জেলের খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন, সে বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনও উত্তরই দেয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এখনও হেফাজতে নেওয়া যায়নি চোকসির ঘনিষ্ঠ দীপক কুলকার্ণিকেও।

Advertisement

[সবরীমালা ইস্যুতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টের]

সিবিআই সূত্রের খবর, এই বিতর্কের জেরে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখাচ্ছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিনিয়র এবং জুনিয়র আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়েরও চরম অভাব দেখা যাচ্ছে। যার জেরে বিহারের মুজফ্ফরপুর মামলারও তদন্ত এগোচ্ছে কচ্ছপের গতিতে। অবশ্য, এর পিছনে শুধু সিবিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের দায়ী করা ঠিক হবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, সুপ্রিম কোর্টেই বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওয়ের হাতে বেড়ি পরিয়ে দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, নতুন কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর। সেকারণেও অনেকটা ক্ষতি হচ্ছে তদন্তের অগ্রগতিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement