সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক নিয়ে কংগ্রেসের দাবি, ১৩০-১৪০টি আসন। বিজেপি বলছে, এই প্রথমবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে দল। আর এসবের মধ্যে মনে মনে হাসছেন জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। কারণ, অধিকাংশ এক্সিট পোলের (Exit Poll) ইঙ্গিত, ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির বিধানসভা। আর সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে সরকার গড়ার চাবিটি থাকবে এইচ ডি কুমারস্বামীর হাতেই। যিনি ঠিক একইভাবে এর আগে বার দুই মুখ্যমন্ত্রীও হয়ে গিয়েছেন। ফের কিংমেকার হওয়ার জন্য মুখিয়ে।
২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনেও ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। সেবারে অনেক কম শক্তি থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। এবারেও কি তিনি তেমন কোনও পরিকল্পনা করে রেখেছেন? জেডিএস সূত্রের দাবি, কুমারস্বামী (HD Kumarswamy) এখন বেঙ্গালুরুতে নেই। তিনি চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন বিদেশে। কিন্তু, তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিজেপি এবং কংগ্রেস, দু’দলের তরফেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেডিএসের বর্ষীয়ান নেতা তানবীর আহমেদ বলছিলেন, “দুটি সর্বভারতীয় দলই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলেছি কাকে সমর্থন করা হবে। তবে সেটা জানানো হবে সঠিক সময়েই।”
জেডিএসের ওই নেতা বলছেন, কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP) টাকা, আর পেশিশক্তির সঙ্গে তাঁরা পেরে ওঠেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দল এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যাবে যে সরকার গড়ার চাবি তাঁদের হাতেই থাকবে। কর্ণাটকের মানুষ কোনও সর্বভারতীয় দলকেই একচ্ছত্র ক্ষমতা দেবে না। কংগ্রেস অবশ্য সাফ দাবি করছে, তাঁরা কোনওরকম জোটবার্তা পাঠায়নি। আর পাঠানোর প্রশ্নও নেই। কারণ কর্ণাটকে দল একাই সরকার গড়বে। তবে বিজেপির অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। বিজেপির কিছু নেতা ঘুরিয়ে একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছেন, দল জেডিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
কর্ণাটকের (Karnataka) প্রভাবশালী বিজেপি নেতা আর অশোক যেমন স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কর্ণাটকে সরকার গড়বে বিজেপিই। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ‘অপারেশন’ শুরু করব।” তবে অশোক দাবি করেছেন, এই পরিস্থিতি তৈরিই হবে না। কারণ, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। বিজেপির অন্য রাজ্য নেতারাও বলছেন, তাঁরা কমপক্ষে ১২০ আসন পাবেন। তবে বিজেপি সূত্রের খবর পরিস্থিতি তেমন হলে জেডিএসের (JDS) সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুসম্পর্ক এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.