সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদি’ পদবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাংসদ পদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর মধ্যেই পুরনো মামলায় নতুন অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Congress) নেতা। ২০২১ সালে দিল্লিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। যার পর নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল। পরে টুইটারে বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে বিপাকে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। মামলা করেন এক সমাজকর্মী। শনিবার ওই মামলার শুনানিতে নোটিস দিয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
২০২১ সালের ১ আগস্টের ঘটনা। রাজধানীর এক শ্মশানের প্রধান পুরোহিত ও তাঁর চার সহকারীর হাতে ধর্ষিত হয় ৯ বছরের নাবালিকা। তাঁকে হত্যা করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হয় নির্যাতিতার পরিবারের। পরে রাহুল গান্ধী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, যেখানে নির্যাতিতার মা-বাবার মুখ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। সেই ছবি ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ ভারতের ‘পকসো’ আইনের অধীনে ধর্ষিতা নাবালিকা বা তাঁর পরিবারের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। বিষয়টি নজরে আসতেই টুইটার থেকে ছবি সরানোর নির্দেশ দেয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এর পর বিনীত জিন্দল নামের এক আইনজীবী রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন মকরন্দ সুরেশ মাধলেকার নামের এক সমাজকর্মী।
এদিন মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি শচিন দত্ত নোটিস জারি করে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের মতামত তলব করলেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে। ২৭ জুলাই পরবর্তী শুনানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.