প্রতীকি ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার রাত তিনটের কিছু পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দলিত নির্যাতিতার। গণধর্ষণ এবং নৃশংস শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই যুবতীর (Hathras rape victim) মৃত্যু হয় মঙ্গলবার। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে দ্রুত শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। বারবার মৃতা যুবতীকে শেষবারের মতো উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাওয়া হলেও অনুমতি মেলেনি। পুলিশ যুবতীর পরিবারের লোককে মারধর করে বলেও অভিযোগ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ওই যুবতীর ভাই জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ জোর করে দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যায়। আমার বাবা হাথরাসে পৌঁছতেই তাঁকে দ্রুত শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা শেষবারের মতো ওর দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।’’
ABSOLUTELY UNBELIEVABLE – Right behind me is the body of #HathrasCase victim burning. Police barricaded the family inside their home and burnt the body without letting anybody know. When we questioned the police, this is what they did. pic.twitter.com/0VgfQGjjfb
— Tanushree Pandey (@TanushreePande) September 29, 2020
বুধবার রাত একটা নাগাদ ওই যুবতীর দেহ পৌঁছয় তাঁর গ্রামে। বড় রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শ্মশানের আলো। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করে পুলিশ। যুবতীর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য ছিল, এভাবে মধ্যরাতে শেষকৃত্য হোক তা তাঁরা চান না। আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের ইচ্ছা ছিল শেষবারের জন্য নিহত যুবতীর দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু প্রশাসন জানিয়ে দেয়, যত দ্রুত সম্ভব শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হবে।
তখনও যুবতীর বাবা ও এক ভাই দিল্লি থেকে গ্রামে ফেরেননি। সেকথা জানিয়ে অন্য এক ভাই পুলিশকে বলেন, ‘‘এত তাড়া কীসের? আমাদের বাবা এখনও ফেরেননি।’’ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়। পুলিশের সঙ্গে যুবতীর আত্মীয়দের বচসা বাঁধে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মারধরও করে।
বুধবার রাতের যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, তার একটিতে যুবতীর মা’কে পুলিশের কাছে অনুনয় করতে দেখা গিয়েছে মেয়েকে শেষবারের জন্য নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার। হাথরাসের পুলিশের তরফে টুইট করে শেষকৃত্যের বিষয়ে জানানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, মৃতার পরিবারের ইচ্ছানুসারেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে দু’সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পরে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.