Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hathras stampede

‘দুর্ঘটনার সময় ছিলাম না’, অন্তরাল থেকেই বার্তা ভোলে বাবার, হাথরাসের দায় এড়ানোর চেষ্টা?

স্বঘোষিত ধর্মগুরুর দাবি, তাঁর সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সমাজবিরোধীদের হাত। কাদের দিকে আঙুল তুলছেন তিনি, সেটা স্পষ্ট নয়।

Hathras godman reacts to stampede during his satsang
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 3, 2024 8:24 pm
  • Updated:July 3, 2024 8:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর প্রবচন শুনতে গিয়ে ঝরে গিয়েছে শতাধিক প্রাণ। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও বেশ কয়েকজন ভক্ত। সেই সংখ্যাটাও শতাধিক। অথচ এত কিছুর পরও দায় এড়ানোর চেষ্টায় সেই নারায়ণ সাকার ওরফে ভোলে বাবা। মঙ্গলবারের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ভোলে বাবা। এবার অন্তরালে থেকেই ওই দুর্ঘটনা নিয়ে বার্তা দিলেন তিনি।

ভোলে বাবা হাথরাসের ওই ঘটনা নিয়ে বুধবার সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই ঘটনার অনেক আগেই তিনি ঘটনাস্থল ছাড়েন। পুরো কাণ্ডটাই ঘটেছে তাঁর অনুপস্থিতিতে। ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর দাবি, তাঁর সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সমাজবিরোধীদের হাত। কাদের দিকে আঙুল তুলছেন তিনি, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরু জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে আইনি পথেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি। বিবৃতির শেষে স্বজনহারাদের প্রতি শোকজ্ঞাপনও করেছেন ভোলে বাবা (Bhole Baba)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জেলবন্দি অবস্থায় জয়ী ‘খলিস্তানি’ অমৃতপাল, শপথ নিতে প্যারোলে মুক্তি

উল্লেখ্য, হাথরাসের (Hathras Stampede) ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। আরও অভিযোগ, আয়োজকরা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অনুষ্ঠান শেষ হলে একদল বেরিয়ে যেতে চান। বাকি দলটা উলটো স্রোতে হেঁটে এগিয়ে যান বাবার পায়ের ধুলো নিতে। এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। অথচ এত কিছুর পরও নাকি এফআইআরে ভোলে বাবার নাম নেই। রয়েছে তাঁর ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারীর নাম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর ইডি, জোড়া আবেদনের জেরে ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলেই কেজরি

পুলিশ আধিকারিক থেকে ধর্মগুরুর পথ ধরে অতি অল্প সময়েই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যান ভোলে বাবা। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর আশ্রম। ভক্তসংখ্যা বাড়তে থাকে হুড়মুড়িয়ে। লক্ষ লক্ষ ভক্তের থেকে পাওয়া বিপুল অনুদানে রীতিমতো বিলাসবহুল জীবন শুরু করেন এই বাবা। তবে আপাতত পুলিশের ভয়ে অন্তরালে রয়েছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ