সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ নয়, হাথরাস মামলার শুনানি হোক দিল্লি বা মুম্বইয়ে। এলাহাবাদ হাই কোর্টে এমনটা আরজি জানাল নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার এলাহাবাদ হাই কোর্টে হাথরাস মামলার শুনানি ছিল। মাঝরাতে কার্যত জোর করে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে এদিন পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত। যদিও পুলিশের দাবি, আইন-শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
গণধর্ষিতা দলিত তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হলেও অস্থি বিসর্জন দেয়নি পরিবার। জাতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সুবিচার না পাওয়া অবধি অস্থি বিসর্জন করবেন না তাঁরা। সোমবার হাই কোর্টে তিনটি দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। এক, সিবিআই-এর তদন্ত রিপোর্ট যেন গোপন রাখা হয়। কোনও সংবাদপত্রে যেন তা প্রকাশিত না হয়। দুই, মামলা উত্তরপ্রদেশের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিন, যতক্ষণ না মামলার শুনানি শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন তাদের কড়া নিরাপত্তা দেওয়া হয়। মামলার জল সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ালেও সেইসময়ও যেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়, সেই আরজিও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন সবপক্ষের সওয়াল শোনার পর মামলার শুনানি স্থগিত রাখে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ নভেম্বর।
কড়া নিরাপত্তায় সোমবার এলাহাবাদ হাই কোর্টে হাজির হয়েছিলেন হাথরসের নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের পাঁচ জন সদস্য। ছিলেন তরুণীর বাবা, মা এবং তিন জন ভাই। তাঁদের হয়ে এদিন আদালতে লখনউ বেঞ্চে বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং রাজন রয়ের সামনে সওয়াল করেন ‘নির্ভয়া’ মামলার আইনজীবী, সীমা কুশওয়াহা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ কুমার অবস্তি, ডিজিপি এইচ সি অবস্তি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। মাঝরাতে দেহ দাহ করা নিয়ে আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় যোগীর প্রশাসনকে। বিচারপতি জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, ধনী পরিবারের মেয়ে হলে, একইভাবে দেহ সৎকার করতে পারতেন তো?
যদিও জেলাশাসক আদালতকে জানান, আইন-শৃঙ্খলাজনিত কারণেই গভীর রাতে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের তরফে তাদের উপর কোনও রকম চাপ ছিল না। এমনকী এ নিয়ে উপর মহল থেকে তাদের কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.