সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভয়ে ভীত পাকিস্তান! পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা (Kashmir Terror Attack) ও ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনার ঠিক পর জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে নজরে পড়ল পাকিস্তানের ব্যাপক তৎপরতা। সীমান্তবর্তী সেনা ঘাঁটির দিকে রওনা দিতে দেখা গেল পাক বায়ুসেনার একাধিক বিমানকে। যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, সীমান্তে বড় পরিসরে সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে পাকিস্তান।
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা যাচ্ছে, এই সংগঠন পাকিস্তানের আইএসআই-এর মদতপুষ্ট। এমনকী হামলার যুক্ত থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগই বিদেশি। জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাক যোগের স্পষ্ট ইঙ্গিত প্রকাশ্যে আসতেই পালটা হামলার আশংকায় সতর্ক হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
অতীতের মতো পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে ভারত হামলা চালাতে পারে, এই ভয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে সীমান্তের ওপারে। বিমানের অবস্থান নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট ‘Flightradar24’-এর তথ্য তুলে ধরে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার ঠিক পর বায়ুসেনার একাধিক বিমান করাচি থেকে পাঠানো হয়েছে উত্তরে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির উদ্দেশে। পাকিস্তানের এই দুই বায়ুসেনা ঘাঁটি জম্মু ও কাশ্মীরের নিকটবর্তী। যে বিমানগুলিকে করাচি থেকে আসতে দেখা গিয়েছে এদের মধ্যে পাকবায়ুসেনার উল্লেখযোগ্য দুটি বিমান হল, সি-১৩০ই পরিবহণ বিমান, PAF198 এবং এমব্রেয়ার ফেনম ১০০ জেট, PAF100। এই দুটি বিমান ভিভিআইপি পরিবহণ ও গোয়েন্দা কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পাক বায়ুসেনার বিমানের এই তৎপরতা আলাদাভাবে নজর কাড়ছে। যদিও এই ইস্যুতে পাকিস্তান বা ভারত সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে জঙ্গি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সৌদি সফর কাটছাঁট করে ভারতে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সৌদির যুবরাজের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ না দিয়ে বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বুধবার ভোরে বিমানবন্দরে অবতরণের পরই অজিত ডোভাল ও জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজই বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মৃত পর্যটকদের দেহ শ্রীনগর নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই যাচ্ছেন অমিত শাহ। এরপর দিল্লি ফিরে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। জঙ্গি হামলার জেরে ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.