ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একে একে ১২০ জনের বেশি মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল হরিয়ানার (Haryana) জলেবি বাবার। অবশেষে জেলেই মৃত্যু হল সাধুর বেশে হিসারের সেই ‘শয়তান’-এর। নাম বিল্লু রাম হলেও ভক্তদের কাছে তিনি জলেবি বাবা (Jalebi Baba) নামেই পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে আসেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
জানা যায়, পাঞ্জাবের (Punjab) মনসা এলাকার বাসিন্দা বিল্লু রাম জীবনের শুরুতে ঠেলা গাড়ি চালাতেন। এর পর হরিয়ানার এসে জিলিপি তৈরির কাজ করতেন তিনি। এরপর হঠাৎ নিজেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ঘোষণা করে হরিয়ানার হিসার জেলায় রীতিমতো প্রতিপত্তি বাড়িয়ে তোলেন এই ব্যক্তি। জিলিপি বিক্রির সূত্র ধরেই তাঁর নাম হয় জলেবি বাবা। এলাকায় একটি আশ্রমও খুলে ফেলেন তিনি। তখন থেকেই শুরু হয় তাঁর কুকীর্তি। সুন্দরী, অল্প বয়সি কোনও মহিলা ভক্ত তাঁর কাছে এলে বাবার লালসা থেকে নিস্তার পেতেন না তাঁরা। চায়ের সঙ্গে মাদক খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করা হত সেই মহিলাকে। এর পর ধর্ষণের পাশাপাশি গোটা ঘটনার ভিডিও করা হত। এবং সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হত।
২০১৮ সাল নাগাদ তেমনই একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর সেই ভিডিও’র ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে এমন আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিও হাতে আসে পুলিশের। একে একে আরও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ১২০ জনের বেশি মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন ওই ভণ্ড জলেবি বাবা। তাঁদের মধ্যে নাবালিকা থেকে মধ্য বয়সি বাদ ছিল না কেউই। এর পরই জলেবি বাবার গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। সেই মামলায় ২০২৩ সালে তাঁকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তখন থেকেই হিসারের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন ধর্ষণকাণ্ডের অপরাধী এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। জেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন জলেবি বাবা। এর পর তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.