সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জেলমুক্তি দলের জন্য দুঃসংবাদ নয় তো! অঙ্ক কষা শুরু করে দিল হরিয়ানা কংগ্রেস। আসলে কেজরিওয়াল হরিয়ানায় প্রচারে গেলে তিনি যে বিজেপি বিরোধী ভোটই কাটবেন তাতে সংশয় নেই, সেটাই কংগ্রেসের আশঙ্কার জায়গা।
১০ বছর হরিয়ানায় বিজেপির সরকার। স্বাভাবিকভাবেই সে রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা চরমে। কংগ্রেস মনে করছে, বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এবার তাঁদের প্রত্যাবর্তন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পাওয়া কেজরিওয়াল সব অঙ্ক ঘেঁটে দিতে পারেন। তিনি যদি হরিয়ানায় জোরকদমে প্রচার করেন তাহলে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে আপ। এমনিতে হরিয়ানায় আপের সংগঠনে বিশেষ জোর নেই। তবে পাশের দুই রাজ্য পাঞ্জাব এবং দিল্লিতে ক্ষমতায় আপ। স্বাভাবিকভাবেই ‘ঝাড়ু’র খানিক প্রভাব হরিয়ানায় রয়েছে।
তাছাড়া লোকসভা ভোটে জোট করে আপকে হরিয়ানার রাস্তা দেখিয়েছে কংগ্রেসই। লোকসভায় কংগ্রেসের হাত ধরে কুরুক্ষেত্র আসনটিতে লড়ে বেশ কয়েক লক্ষ ভোট পেয়েছে কেজরিওয়ালের দল। চারটি বিধানসভায় এগিয়েও রয়েছে তাঁরা। রাহুল গান্ধী চাইছিলেন বিধানসভাতেও হরিয়ানায় আপ-কংগ্রেস জোট হোক। কিন্তু আপের ‘বেয়াড়া’ আসনের দাবি মানতে চাননি হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা। তাঁরাই এখন ভাবছেন, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কেজরিওয়াল যদি প্রচারে ঝড় তোলেন তাহলে কিছু প্রভাব তো পড়বেই। তাছাড়া কেজরিওয়াল নিজে হরিয়ানার ছেলে। সেটার একটা আবেগ কাজ করতে পারে। এই সমীকরণগুলি কাজ করলে কংগ্রেসরই ক্ষতি।
হরিয়ানা কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে অবশ্য জানিয়েছেন, আপের কোনও প্রভাব হরিয়ানায় নেই। এবার রাজ্যে কংগ্রেসের ঝড় উঠবে। কিন্তু সেই ঝড় থামাতে বিজেপি ছোট দলগুলিকে ব্যবহার করতে পারে। বস্তুত হরিয়ানায় কংগ্রেস-বিজেপির লড়াইয়ের মধ্যে লোকদল-বিএসপি জোট, জেজেপি-চন্দ্রশেখর আজাদের জোট হয়েছে। তাতে এমনিতেই কংগ্রেসের ভোট কাটার সম্ভাবনা ছিল। সেটার সঙ্গে আপের শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন হলে সেটা কংগ্রেসের জন্য চিন্তার বইকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.