Advertisement
Advertisement

‘কুলভূষণের সঙ্গে পাকিস্তানে যোগ্য আচরণ’, সপা সাংসদের মন্তব্যে শোরগোল

সাংসদের সদস্যপদ বাতিল করা হোক, দাবি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 27, 2017 10:11 am
  • Updated:December 27, 2017 10:14 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব একজন সন্ত্রাসী। তার সঙ্গে যোগ্য আচরণ করেছে পাকিস্তান। এমনটাই মত সমাজবাদী পার্টির সাংসদ নরেশ আগরওয়ালের। উত্তরপ্রদেশের এই রাজনৈতিক দলটির সাংসদের মন্তব্য, ‘পাকিস্তান কুলভূষণকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছে। তাঁর সঙ্গে সেরকম আচরণই করা হচ্ছে যা একজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে করা হয়। ভারতেও আমরা জঙ্গিদের সঙ্গে একই ব্যবহার করি। জঙ্গিদের কড়া হাতেই দমন করা উচিত।’ এখানেই থেমে থাকেননি সপার রাজ্যসভার এই সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, দেশের সংবাদমাধ্যম কুলভূষণকে নিয়ে মাতামাতি করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছে যে পাকিস্তানে এরকম বহু ভারতীয় বিনা বিচারে দিনের পর দিন বন্দি রয়েছেন।

তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় আছড়ে পড়ে। বেগতিক বুঝে পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চান নরেশ। বলেন, ‘আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বলতে চেয়েছি পাকিস্তান আমাদের নাগরিকদের জেলে বন্দি করে রেখে যে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে, আমাদেরও পাক বন্দিদের সঙ্গে একই আচরণ করা উচিত। পাক চর বা সন্ত্রাসবাদীদের আমরা জামাই আদরে রেখেছি। এটা উচিত নয় বলতে চেয়েছিলাম।’ তবে গুলি একবার বন্দুক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরিয়ে আনা যায় না। নরেশের মন্তব্যের বিরুদ্ধেও তেমনই তেড়েফুঁড়ে উঠেছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছেন, রাজ্যসভা থেকে নরেশ আগরওয়ালের সদস্যপদ খারিজ করা হোক। এই প্রথম নয় অবশ্য, এর আগে হিন্দু দেবদেবীদের নিয়েও নানা অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে এই সপা সাংসদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

কী বলেছেন নরেশ, দেখুন ভিডিও:

এদিকে, কুলভূষণ যাদবের পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের অভব্য ও ন্যক্কারজনক আচরণ নিয়ে ক্ষোভে ফুটছে দেশ। রেগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তাল সংসদও। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। চরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডের সাজা খাটছেন প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদব। সোমবার পাক বিদেশমন্ত্রকের দপ্তরে প্রায় এক বছর পর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মা অবম্তী ও স্ত্রী চেতনকুলের। দেখা করতে দেওয়ার আগে তাঁদের টিপ, শাঁখা, মায় মঙ্গলসূত্রও খুলে রাখতে বাধ্য করে দপ্তরের কর্মীরা। নগ্ন করে চেকিং করা হয় তাঁদের। অবশেষে পোশাক পালটানোর পরই মেলে কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি। সেই দেখাও গোপনীয়তা রক্ষা করে হয়নি। কাচের দেওয়ালের দুই পার থেকে কথা হয় দুই পক্ষের। কথা বলতে দেওয়া হয়নি মারাঠিতে। সাক্ষাৎ শেষে নিজের জুতোজোড়া পর্যন্ত ফেরত পাননি চেতনকুল!

পাক বিদেশমন্ত্রের মুখপাত্র বলেন, চেতনকুলের জুতোয় ধাতব জিনিস মিলেছে। সেটা কোনও ‘স্পায়িং অবজেক্ট’ কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাক অভদ্রতা নিয়ে নির্লিপ্ত তিনি। তাঁর দাবি, সাবধানতা অবলম্বনের জন্যই সিকিউরিটি চেকিং প্রক্রিয়া এতটা সূক্ষ্ম করতে হয়েছে। এর সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। এটি দোষের কিছু নয়। সোমবার পাক সংবাদমাধ্যম তাঁদের শুধু বিব্রতই করেনি, কুলভূষণ সম্পর্কে মিথ্যা আরোপও দিতে শুরু করেছে। সাক্ষাতের পর পাক সংবাদমাধেমের তরফে উঠে আসে নোংরা প্রশ্ন। ‘‘আপনার স্বামী যে হাজার হাজার নিরীহ পাকিস্তানির রক্তে হোলি খেলেছে, সে বিষয়ে কী বলবেন?”, “খুনি ছেলের সঙ্গে দেখা করে কেমন লাগছে তার মার?” জাতীয় আরও বিবিধ প্রশ্নবাণে জজর্রিত করে হেনস্তার চেষ্টা করা হয় অবন্তীদের। দেখুন সেই ভিডিও:

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement