নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু নাকি জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল হাঁসখালির (Hanskhali Rape Case) নির্যাতিতাকে? জে পি নাড্ডার কাছে জমা দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপির তথ্য অনুসন্ধান কমিটির। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় ওই রিপোর্টে। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা জমা দেওয়া হবে বলেই জানান মালদহের ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
বিজেপির তথ্য অনুসন্ধান কমিটির (Fact Finding Committee) সদস্যরা বুধবার দিল্লিতে জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর ওই কমিটির সদস্য শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী জানান, হাঁসখালির স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। নির্যাতিতার মা, বাবা শয্যাশায়ী। তাঁরা কান্নাকাটি করছেন। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে সেসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাঁসখালি কাণ্ডে সুপরিকল্পিতভাবে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে বলেও দাবি ওই কমিটির। নাবালিকার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে নাকি তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সন্দেহ প্রকাশ করা হয় ওই রিপোর্টে। শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবি তাঁদের নির্যাতিতার মা-বাবা বলেন, “খুব অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে পাই। আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছিল। বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।” পুলিশের তথ্য হস্তান্তরের উপরেই সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নির্ভর করছে বলেও দাবি বিজেপি নেত্রীর।
হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, সেই প্রশ্নে ওই রিপোর্টে তোলা হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নাড্ডার কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেবে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বিস্তারিত রিপোর্টে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানানোর ইঙ্গিতও করেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল প্রেমিক সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল হাঁসখালির কিশোরী। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোহেল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। কিশোরীর পরিবারের দাবি, রাতে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। জোর করে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই (CBI) এই ঘটনার তদন্ত করছে। পাশাপাশি বিজেপিও এই ঘটনায় একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করে। ওই কমিটির সদস্যরা এদিন নাড্ডার (J P Nadda) হাতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.