Advertisement
Advertisement

ফিরছে ভোগান্তি! আগামী মার্চেই বন্ধ হচ্ছে দেশের অর্ধেক এটিএম

চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হতে পারেন সাধারণ মানুষ।

Half of India’s ATMs may shut down

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 22, 2018 4:28 pm
  • Updated:November 22, 2018 4:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংস্কারের পর এবার এটিএম সংস্কার। সরকারের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের জেরে এমনিতেই নোট বাতিলের সময় প্রচুর ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এবার আবার নতুন করে ভোগান্তির সময় ফিরে আসছে। কারণ যা খবর, আগামী বছরের মার্চ মাসেই দেশজুড়ে প্রায় অর্ধেক এটিএম অচল হয়ে যাবে। কনফেডারেশন অব এটিএম ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে এমনটাই (CTMI) খবর। আসলে দেশজুড়ে এটিএমের ব্যবহারের পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। আর সেই কারণে কয়েক মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাতে পারে লক্ষাধিক এটিএম!

[নতুন ১০০ টাকার নোটের গেরো, দেশজুড়ে এটিএম সংস্কারের খরচ ১০০ কোটি]

কনফেডারেশন অফ এটিএম ইন্ডাস্ট্রি (সিএটিএমআই) জানিয়েছে, এই মুহূর্তে গোটা দেশে এটিএম-এর সংখ্যা দু’লক্ষ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে এক লক্ষ ১৩ হাজার এটিএম-ই বন্ধ হয়ে যাবে আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ এটিএম-ই বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু শহরাঞ্চলের নয়, তুলনায় প্রান্তিক ছোট শহর এবং গ্রামগুলিতে অল্প বা অব্যবহৃত এটিএম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ী শ্রেণির মানুষ। সমস্যায় পড়বেন প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় যাঁরা শুধু এটিএম থেকেই ভরতুকির টাকা টাকা তোলেন তাঁরাও। গ্যাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম সরকারি পরিষেবার ভরতুকি এখন সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢোকে। সেই টাকা তোলার জন্য এটিএমই সবচেয়ে সহজলভ্য মাধ্যম। একদিকে যেমন সবসময় টাকা তুলতে অসুবিধা হবে, অন্যদিকে তেমন যে এটিএমগুলি সঠিকভাবে কাজ করবে সেগুলিতে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে।

Advertisement

[নোট বাতিলের স্মৃতি উসকে এটিএমে বাড়ন্ত নগদ, তীব্র সমালোচনা মমতার]

সিএটিএমআই জানাচ্ছে, সম্প্রতি এটিএমগুলির হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ক্যাশ লোডিং-এর পদ্ধতি ইত্যাদিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু এটিএম অকেজো হয়ে যাবে কিছু মাসের মধ্যেই। বদলে আনা হবে নতুন পদ্ধতি। এই নতুন পদ্ধতি কার্যকর করতে অন্তত তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। নোট বাতিলের সময় নোটের আকার পরিবর্তন হওয়ার ফলেও কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে এটিএমের যন্ত্রপাতি বদলাতে হয়েছিল। পরবর্তীকালেও একাধিকবার নোটের আকার পরিবর্তন হয় এবং সেক্ষেত্রেও খরচ হয় কোটি কোটি টাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement