Advertisement
Advertisement

বাল্মিকীদের বয়কট নাপিতদের, অস্পৃশ্যতা প্রশ্নে তোলপাড় যোগীর রাজ্য

এখনও কেন অচ্ছুৎ বাল্মিকীরা? উঠছে প্রশ্ন।

Hair saloon owners of Agra refuse to cater to Dalit clients
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 15, 2017 10:52 am
  • Updated:September 15, 2017 10:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজীবন অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। তথাকথিত নিম্নশ্রেণির মানুষকে অচ্ছুৎ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে হরিজন বলে কাছে টেনেছিলেন জাতির জনক। তবে গান্ধীজির মৃত্যুর পর এখনও অস্পৃশ্যতা দেশের নানা প্রান্তে চেপে বসেছে। এই যেমন আগ্রার বাল্মিকী সম্প্রদায়। তাদের ছুঁলে নাকি জাত যাবে। এই অজুহাতে বাল্মিকীদের বয়কট করেছেন নাপিতরা। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পথ পাননি বাল্মিকীরা।

[কৃষকদের ‘পাশেই’ যোগী সরকার! ঋণ মকুব মোটে ১৯ পয়সা]

Advertisement

এই আগ্রা থেকে সাংসদ হয়েছেন রামশঙ্কর কাঠেরিয়া। যাঁকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসসি-এসটি কমিশনের চেয়ারম্যান করেছেন। অথচ তাঁর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে থাকা বাল্মিকী সম্প্রদায়ের প্রতি এই বৈষম্য নিয়ে সাংসদ চুপ বলে অভিযোগ উঠেছে। আগ্রার বরহান শহরের কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন বাল্মিকীরা। অভিযোগ ওই শহরের সেলুন ইউনিয়ন একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার প্রতিবাদ জানিয়ে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাল্মিকী সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের বক্তব্য, সেলুন মালিকদের এমন আচরণ সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার বিরোধী। যে ধারায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। ওই সম্প্রদায়ের বক্তব্য, এর আগেও বরহানের সেলুন মালিকরা এমন কাজ করেছিলেন। এব্যাপারে সরকারি আধিকারিক এবং পুলিশকে নালিশ জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি। সেলুন মালিকরা ঠিক করেছেন তাদের দোকানের দরজা চিরতরে বাল্মিকী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই নিয়ে আগ্রার পুলিশ সুপার জানান, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে খুব বিপজ্জনক ব্যাপার। দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পরিস্থতিতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে বাল্মিকী সম্প্রদায়। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্রেফ কথার কথা।

[‘তসলিমা প্রধানমন্ত্রীর বোন হলে রোহিঙ্গারা ভাই নয় কেন?’]

বাল্মিকীরা শৃঙ্খলাবদ্ধ সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত। কয়েক মাস আগে এক বন্ধুর সঙ্গে বাল্মিকীদের তুলনা করে ওই সম্প্রদায়ের রোষানলে পড়েছিলেন অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল রাখির বিরুদ্ধে। তবে নাপিতরা তাদের বয়কট করায় এই সম্প্রদায়ের আঁতে ঘা লেগেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটে উত্তরপ্রদেশ নিজেদের দলিতবান্ধব হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে বাল্মিকীদের এই রোষ অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হলে সরকারের বিপদ বাড়বে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement