সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মামলায় ধাক্কা খেল হিন্দুপক্ষ। মসজিদের অজুখানায় মেলা ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল বারাণসী আদালত। বিচারকের মন্তব্য, এমন কোনও পদক্ষেপ করলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের অবমাননা হবে।
২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই মামলায় কয়েকদিন আগেই বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi) ভিতরে শুরু হয়েছিল ভিডিও সার্ভে। সেই রিপোর্ট লিক হয়ে ওজুখানায় ‘শিবলিঙ্গ’ রয়েছে বলে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে, এই ভিডিও সার্ভেতে আপত্তি তোলেন জ্ঞানবাপীর ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি’র মসজিদ কমিটির সদস্য ও তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি সেটা আসলে একটি ফোয়ারা। গত ২০ মে সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওজুখানা ঘিরে রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তারপর নিম্ন আদলত থেকে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেপ্টেম্বরে সেখানে মামলাটির বৈধতা রয়েছে বলে রায় দেয় আদালত।
মসজিদ চত্বরে ‘শিবলিঙ্গে’ পুজোর দাবিতে করা একটি আবেদন আগেই খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে, মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে তার বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু গত মাসে হিন্দুপক্ষের পাঁচজনের মধ্যে চারজন মামলাকারী ফের বারাণসী আদালতে ‘শিবলিঙ্গের’ বয়স জানতে চেয়ে ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানান। আজ সেই দাবিই উড়িয়ে দিল আদালত।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে নিজের পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ভারতবর্ষে ধর্মস্থানের ‘মিশ্র চরিত্র’ নতুন কিছু নয়। একইসঙ্গে মামলাটি বারাণসী জেলা আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, এটি খুবই জটিল এবং স্পর্শকাতর বিষয়। তাই আদালত মনে করে এই মামলাটির শুনানি ডিস্ট্রিক্ট জাজের এজলাসে হওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.