সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন হতেই পারে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট একথাই বললেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পরিস্থিতি গতকালই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়ে এসেছেন কেশরীনাথ। বৈঠক শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার বিষয়টি আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনাও হয়নি।” কিন্তু, এর কিছু পরেই একটি বেসকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “হতেও পারে (রাষ্ট্রপতি শাসন)। যখন দাবি উঠবে, তখন কেন্দ্র নিশ্চই ভেবে দেখবে।”
রাজ্যপালের এই মন্তব্যেই যাবতীয় জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু দিল্লিতে বসে এই মন্তব্য নয়, তলায় তলায় রাজ্যপাল নাকি রাজ্যে শান্তি ফেরানোর দাবিতে সর্বদল বৈঠকেরও ডাক দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে,রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এতটাও খারাপ নয় যে সর্বদল ডাকতে হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বসে রাজ্য বিজেপির নেতারা জানিয়ে এসেছেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এক্কেবারে তলানিতে। যদিও, রাজ্যে ফিরেই ভোলবদল করে মুকুল রায় বলেছেন, মমতার সরকার ফেলে দেওয়ার কোনও ইচ্ছা বিজেপির নেই। মানুষ মমতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে, এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনে সর্বদল বৈঠকের পক্ষেও আজ সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল। জানিয়েছেন, দ্রুত তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ভেঙে দেওয়ার চক্রান্তের মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাশাপাশি মমতা হুঙ্কার দিয়েছেন, “মনে রাখবেন, জখম বাঘ কিন্তু আরও ভয়ংকর। লোকসভা আর বিধানসভার ভোট এক নয়। কোনও ষড়যন্ত্রে মাথা নত করব না।” অর্থাৎ, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবেন বিজেপির। মমতা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে গুজব। মিথ্যা প্রচারে বাংলাকে বদনাম, অপমান করা হচ্ছে। বাংলাকে গুজরাট বানানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এগুলো চলতে দেবেন না। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুন্ডামি দমনে প্রশাসন ও পুলিসকে আরও কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.