সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলবার্গ সোসাইটি দাঙ্গা মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিল গুজরাট হাই কোর্ট। আবেদনকারী জাকিয়া জাফরির আবেদন বৃহস্পতিবার আদালত খারিজ করে দিয়েছে। উচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল না, গুজরাটে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক হিংসা ঠেকাতে যাবতীয় চেষ্টাই করেছিলেন রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আদালত আরও জানিয়েছে, গুজরাট দাঙ্গার বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি যে মোদি-সহ ৫৬ জনকে ক্লিনচিট দিয়েছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রইল। অভিযোগমুক্ত হওয়ায় মোদি রাজনৈতিকভাবে স্বস্তি পেলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[চিন ও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন এয়ার চিফ মার্শাল]
৩ জুলাই শেষ হয় গুলবার্গ সোসাইটি মামলার শুনানি। ২০০২-এ গুজরাত দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি-সহ বেশ কয়েকজনকে ক্লিনচিট দেয় নিম্ন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন গুলবার্গ দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তাঁর দাবি ছিল, মোদি সহ ৬০ জন ওই দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে ফের তদন্ত শুরু হোক। জাকিয়া ও তিস্তা শেতলওয়াড়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস পুনর্বিচারের আবেদন জানিয়েছিল। হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মোদির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করার প্রয়োজন নেই।
[জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে নিজেদের গলা পর্যন্ত কবর দিচ্ছেন চাষিরা]
২০০২ সালের দাঙ্গায় গুজরাটের যে সব এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার মধ্যে আমেদাবাদ অন্যতম। সংখ্যালঘু প্রধান আবাসন গুলবার্গ সোসাইটিতে ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছিল। অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। জাকিয়ার দাবি, হামলার সময় তাঁর স্বামী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি বার বার পুলিশকর্তাদের ফোন করা সত্ত্বেও কোনও সাহায্য মেলেনি। এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। আর তার নেপথ্যে রয়েছে মোদির প্রভাব। গুজরাট দাঙ্গার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছিল, তারা কিন্তু বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ মানেনি। মোদি এবং তাঁর প্রশাসন দাঙ্গা রোখার সব চেষ্টা করেছিলেন বলে তারা রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্টকে মান্যতা দেয় নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জাকিয়া জাফরি। এদিন বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টকেই মান্যতা দিলেন বিচারপতি সনিয়া গোকানি। তাঁর যুক্তি, গুজরাট দাঙ্গা মামলায় যিনি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শদাতা ছিলেন, বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট তিনি নিজে খতিয়ে দেখেছিলেন। সুতরাং এই রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।
[নোট বাতিলে বাড়তি খাটুনি, ওভারটাইম না পেয়ে আন্দোলনে ব্যাঙ্কের কর্মীরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.