সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিছিয়ে গেল গুলবার্গ সোসাইটি হত্যা মামলায় দোষীদের শাস্তি ঘোষণা৷ আগামী বৃহস্পতিবার মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে বলে সোমবার জানিয়ে দিল বিশেষ আদালত৷ এদিন সারা দেশের চোখ ছিল এই সাজা ঘোষণার দিকে৷ সেই মতো বেলা ১১টা নাগাদ আমেদাবাদ আদালতে পৌঁছে যায় গুলমার্গ সোসাইটি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ২৪ জন৷
এদের মধ্যে ১১ জনকে ৩০২ ধারায় খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল৷ সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে দোষীদের আইনজীবীরা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার জন্য সওয়াল করেন৷ দু’পক্ষের সওয়াল শুনে শেষ পর্যন্ত দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ বিচারপতি জানান, এদিন সাজা ঘোষণা করা হবে না৷ জুন মাসের ৯ তারিখ দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করা হবে৷
সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয় আমেদাবাদ আদালত চত্বর৷ আদালতে সিসিটিভিতে নজরদারি চালানো হয়৷ পুলিশ ও এসআরপি জওয়ান মোতায়েন করা হয় গুলবার্গ সোসাইটিতেও৷ ২ জুন গুলবার্গ সোসাইটির নৃশংস গণহত্যাকাণ্ডে বিচারক পি বি দেশাই ২৪ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন৷ যার মধ্যে ১১ জনকে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷ তবে বাকি ৪২ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে৷ বেকসুর খালাস পান অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বিপিন প্যাটেল৷
২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি গুলবার্গ আবাসনে হামলার ঘটনা ঘটে৷ তার আগের দিন গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি দল আগুন লাগিয়ে দিলে প্রাণ হারান ৫৮ জন করসেবক৷ এরপরই একদল উত্তেজিত জনতা আমেদাবাদের চমনপুরের গুলবার্গ সোসাইটিতে ঢুকে প্রচুর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ ঘটনায় নিহত হন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি-সহ ৬৯ জন৷ খোঁজ মেলেনি ৩১ জনের৷
গুজরাত দাঙ্গায় ন’টি মামলার মধ্যে গুলবার্গ একটি৷ এই মামলার তদন্তের জন্য সিট গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট৷ বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট হননি নিহত সাংসদের স্ত্রী জাকিরা জাফরি৷ তিনি বলেছিলেন, “অর্ধেক বিচার পেয়েছি৷ পুরো বিচার পাওয়ার জন্য আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব৷” তবে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন সাজার দাবি করেন জাকিরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.