Advertisement
Advertisement

বন্দি পালানো রুখতে অভিনব উদ্যোগ, গুজরাটে সংশোধনাগারে বসছে অত্যাধুনিক সেন্সর

প্রথম দফায় সেন্সর বসবে সরবমতী ও লাজপোর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে।

Gujrat govt plans to install censor in 2 central jail of the state
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 6, 2018 5:25 pm
  • Updated:May 6, 2018 5:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলের জেলে বসছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। রাজ্যের ২টি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অত্যাধুনিক সেন্সর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। মোদির রাজ্যে কারা বিভাগের অতিরিক্ত ডিজি টিএস বিস্ত জানিয়েছেন, প্রতিটি সেন্সরের সঙ্গেই কন্টোলরুমে যোগাযোগ থাকবে। যদি কোনও বন্দি মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে পালানোর চেষ্টা করে, তাহলে কন্ট্রোলরুমে অ্যালার্ম বাজবে।

[দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে প্রথম বৈঠক ডিফেন্স প্ল্যানিং কমিটির]

Advertisement

শুধু গুজরাট নয়, ব্রিটিশ আমলে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংশোধানাগার-সহ একাধিক ভবন তৈরি হয়েছিল। যার বেশিরভাগই এখন কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। গুজরাটের আহমেদাবাদে সবরমতী কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারটিও তৈরি করেছিল ব্রিটিশরাই। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে এই সংশোধানাগারের নিচে ২১৮ ফুট লম্বা একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া যায়। সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল ২০০৮ সালে আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার অভিযুক্তরা। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল কয়েকজন বন্দি। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বন্দিদের পালানোর রুখতে জেলের মেঝের তলা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সর বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। সেন্সর বসবে আহমেদাবাদের সরবমতী ও সুরাটের লাজপোর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে।

[সেনার জালে বুরহান ওয়ানির শেষ কমান্ডার, মৃত পাঁচ জঙ্গি]

জানা গিয়েছে, ওই দুটি সংশোধানাগারে মাটির নিচে তিন মিটার নিচে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানো হবে অত্যাধুনিক সেন্সর। যেখানে বসানো হবে, তার চারদিকে ৬ মিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত যেকোনও গতিবিধি ধরা পড়বে সেন্সরে। গুজরাট পুলিশের কারা বিভাগের অতিরিক্ত ডিজি টিএস বিস্ত জানিয়েছেন, প্রতিটি সেন্সরের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ থাকবে। সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়লেও, বেজে উঠবে অ্যালার্ম। এসএমএস পৌঁছে যাবে কারা কর্তাদের মোবাইলে। তাঁর দাবি, দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম জেলে এই ধরনের অত্যাধুনিক সেন্সর বসানো হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের শেষের দিকে প্রথম দফায় কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

[কম্বলের ভিতর থেকে উঁকি দিচ্ছে বিষাক্ত সাপ, দেখে চোখ কপালে যাত্রীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement