সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মূল্যবোধ বহন করেন না এমন ব্যক্তিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার্য পদে মেনে নিতে আপত্তি। তাতেই ইস্তফা দিলেন গুজরাট বিদ্যাপীঠের অছি পরিষদের ন’জন সদস্য। সম্প্রতি গুজরাটের রাজ্যপাল (Gujarat Governor) আচার্য দেবব্রতকে মহাত্মা প্রতিষ্ঠিত গুজরাট বিদ্যাপীঠের চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। সেই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেই গুজরাটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণইস্তফা।
কিন্তু ১০২ বছরের প্রাচীন, গান্ধীর ভাবধারায় পরিচালিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বরাবরই আচার্য পদে থেকেছেন মহাত্মা গান্ধীর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ উত্তরসূরিরা। আমেদাবাদের এই স্বয়ংশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোনওভাবেই গান্ধী পরিবারের বাইরের মানুষকে আচার্য পদে মেনে নিতে সম্মত হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের ২৪ সদস্যরে মধ্যে ন’জনই ইস্তফা দিলেন।
এই গণইস্তফার পিছনে কারণ হিসাবে যৌথ বিবৃতিতে তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, একশো বছরের বেশি সময় আগে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গান্ধী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই প্রথম আচার্য ছিলেন। এবং আমৃত্যু এই পদে ছিলেন। পরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, মোরারজি দেশাইয়ের মতো মানুষও এই পদ অলঙ্কৃত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে রাজ্যপালকে আদৌ মেনে নেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে বরাবরই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভায় আচার্য বিল পাশ করানো হয়েছে। সেখানেও রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন করা হয়েছে। তবে সেই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও এখনও আইনে পরিণত হয়নি।
যদিও সেই বিল নিয়েও বিতর্ক থেকেই গিয়েছে। সেখানে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে রাজনীতিবিদদের নয়, শিক্ষাবিদদেরই বসানো উচিত বলে দাবি করা হয় নানা মহল থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.