সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণা হল। গুজরাটের হল না। অথচ, ২০১৭ সালেও দুই রাজ্যে ভোট হয়েছিল একই সঙ্গে। ভোট গণনাও হয়েছিল একই দিনে। তাহলে ভোট ঘোষণার দিনে ফারাক কেন? নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।
আসলে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শুধু হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১২ নভেম্বর এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে হিমাচল প্রদেশের ৬৮ আসনে। ফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণের ২৬ দিন পর প্রবল ঠান্ডার সময় ভোটগণনা হবে পাহাড়ি রাজ্যটিতে। কিন্তু কেন ভোটগ্রহণের এতদিন পর ফল ঘোষণা হিমাচলে? মনে করা হচ্ছে, হিমাচল এবং গুজরাটের ভোটের ফল একই দিনে প্রকাশ করতে চায় কমিশন। সেকারণেই হিমাচলের (Himachal Pradesh) ভোটগণনার জন্য ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে। যদিও গুজরাটের ভোটের দিনক্ষণ এদিন ঘোষণা করা হয়নি। সেটা নিয়েই যত প্রশ্ন বিরোধীদের।
শোনা যাচ্ছে, দিওয়ালির পর গুজরাটের ভোট ঘোষণা করতে পারে কমিশন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সেরাজ্যে একাধিক সরকারি কর্মসূচিতে যেতে পারেন। তাতে একাধিক শিলান্যাস বা বড় প্রকল্প ঘোষণার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কংগ্রেসের (Congress) বক্তব্য, বিজেপিকে (BJP) সুবিধা পাইয়ে দিতেই গুজরাটে দেরিতে ভোট ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাতে গুজরাটে আগামী কয়েক দিনে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার সুযোগ পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলছেন,”কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আমরা একেবারেই আশ্চর্য নই। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী যাতে আরও বেশি বেশি করে বড় বড় প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।”
যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রথা মেনেই হিমাচলের ভোটের দিন গুজরাটের ভোট ঘোষণা করা হয়নি। দুই বিধানসভার মেয়াদ শেষের সময়সীমার মধ্যে অন্তত ৪০ দিন সময়ের ফারাক রয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দীর্ঘ করতে চায় না। সেই সঙ্গে দুই রাজ্যের আবহাওয়া এবং অন্যান্য ফ্যাক্টর নজরে রেখেই আলাদা আলাদাভাবে ভোট ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.