Advertisement
Advertisement

Breaking News

জঙ্গিদের নিশানায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটি! গুজরাটে জারি হাই অ্যালার্ট

হামলা হতে পারে ৯ টি রাজ্যে, জারি চরম সর্তকতা।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 18, 2019 6:44 pm
  • Updated:February 18, 2019 6:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পুলওয়ামার পর এবার গুজরাটে হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর পেয়েই হাই অ্যালার্ট জারি করা হল সেখানে। গুজরাট পুলিশের কাছে এই তথ্য আসার পর আজই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পুলওয়ামার ধাঁচে হামলা চালানো হতে পারে খবর পেয়েই গুজরাটের বিভিন্ন রেল স্টেশন, সমুদ্র উপকূলবর্তী সীমান্তগুলি ও স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে নিরাপত্তার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গুজরাটের ১৬০০ কিলোমিটার জুড়ে থাকা উপকূল সীমান্তের ওপারেই পাকিস্তানের জলসীমা। এর আগে ১৯৯৩ ও ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা চালানোর আগে এখানে দিয়েই অনুপ্রবেশ করেছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা।

Advertisement

[ভারতীয় সেনার বড়সড় সাফল্য, নিকেশ পুলওয়ামার মূল চক্রী কামরান]

এপ্রসঙ্গে গুজরাটের পুলিশের আইজি এস এস ত্রিবেদী জানান, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরেই দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী নয়টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। গুজরাটের ২২টি মেরিন পুলিশ স্টেশন এবং ৭১টি উপকূলীয় চেকপয়েন্ট ও আউটপোস্টে জারি হয়েছে চরম সর্তকতা।

[বিয়েতে পাওয়া টাকা শহিদদের পরিবারের জন্য দান করলেন গুজরাটের নবদম্পতি]

তিনি আরও বলেন, আইসিজি ও বিএসএফের সঙ্গে যৌথভাবে ৩০টি স্পিডবোট নিয়ে দেশের জলসীমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আমাদের গোয়েন্দাদেরও উপকূলবর্তী এলাকায় কোনও রকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের জলসীমার ভেতরে থাকা দ্বীপগুলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে যাতে সেখানে কোন জঙ্গি না লুকিয়ে থাকতে পারে।

পুলওয়ামার ঘটনার পরেরদিনই দিল্লি পুলিশ একই ধরনের জঙ্গি হামলা ফের করা হবে বলে খবর পায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা সম্পর্কে আগেই খবর পেয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে সেনা ও এয়ারফোর্সের পাশাপাশি সিআরপি এবং বিএসএফের মতো আধাসামরিক বাহিনীর আধিকারিকদেরও জানিয়ে দেয় তারা।

সারা দেশজুড়ে সর্বস্তরের মানুষ যখন পুলওয়ামার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তান মুর্দাবাদের স্লোগান তুলছে। ঠিক তখনই এই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করলেন স্বামী অগ্নিবেশ। তাঁর কথায়, একমাত্র তখনই আমরা পাকিস্তানকে দায়ী করতে পারি যখন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। যদি তারা নিন্দা না করত তখনই আমরা তাদের দায়ী করতে পারতাম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement