প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনিয়র দাদাদের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু হল প্রথম বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাতের ধারপুর পাটনে জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ওই পড়ুয়াকে। যার জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় অনিল মেথানিয়া নামে ওই তরুণের।
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সিনিয়র দাদাদের কাছে নতুন প্রবেশ করা পড়ুয়াদের নিজের পরিচয় দেওয়ার পর্ব চলছিল। কলেজের ভাষায় যার নাম ‘ইন্ট্রোডাকশন’ পর্ব। এর আড়ালেই চলছিল র্যাগিং। অভিযোগ, এই সময় সিনিয়র দাদারা ওই তরুণকে দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি দেয়। ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার পর অজ্ঞান হয়ে যান অনিল। এই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশের কাছে পড়ুয়া জানায় র্যাগিংয়ের কথা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় তাঁর। অনিলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পর স্পষ্ট হবে ঠিক কী কী নির্যাতন চালানো হয়েছিল পড়ুয়ার সঙ্গে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনিলের খুড়তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র বলেন, পাটনের ওই মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে সুরেন্দ্র নগর জেলায় তাঁদের বাড়ি। রবিবার কলেজ থেকে তাঁদের কাছে ফোন আসে যে অনিল অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা সেখানে পৌঁছে জানতে পারি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা ভাইকে র্যাগিংকরেছে। যার জেরে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।
এদিকে কলেজের ডিন হার্দিক শাহ বলেন, ‘ওই পড়ুয়া অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে জানতে পারি তাঁর সঙ্গে র্যাগিংহয়েছে। পুলিশ ও পরিবারকে গোটা বিষয়টা জানানো হয়েছে। এই ঘটনা যাতে না ঘটে তার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ওই ছাত্রের বাবা পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করছি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.