সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে কয়েক মাস আগেই স্কুল পাঠক্রমে ভগবত গীতাকে (Shrimad Bhagavad Gita) অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট (Gujarat) সরকার। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবার রাজ্যের হাই কোর্টের দ্বারস্থ জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ। জমা পড়া পিটিশনের জবাবে আদালত গুজরাট প্রশাসনের কাছ থেকে ১৮ আগস্টের মধ্যে জবাব চেয়েছে।
গত ১৭ মার্চ বিধানসভায় গুজরাটের সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় ২০২২-২৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠক্রমে গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে গীতার বিভিন্ন অংশ কবিতা, শ্লোক বা গল্পের আকারে পড়ানো হবে। মূলত গুজরাটি বা অন্য প্রথম ভাষার মধ্যেই জুড়ে দেওয়া হবে এই অংশগুলি। আবার বিভিন্ন মনীষীদের জীবনী পড়ানোর সময় তাঁরা গীতাকে কীভাবে দেখতেন সেসবও বর্ণনা করা হবে। অষ্টম শ্রেণির পর থেকে আরও বিস্তারিত পড়ানো হবে গীতা।
গুজরাটের বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তে অখুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। হাই কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছে জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দ। সেখানে বলা হয়েছে, ”এটি একটি অবিসংবাদিত সত্য যে গীতা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় গ্রন্থ এবং গীতায় উল্লিখিত সমস্ত মূল্যবোধ হিন্দু ধর্মের নীতির সাথে জড়িত।”
পিটিশন দাখিলকারীদের অভিযোগ, গীতাকে পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করায় ভারতীয় সংবিধানের ১৪ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা) ও ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় নির্দেশ নিষিদ্ধ) লঙ্ঘিত হয়েছে। তাঁদের মতে, এই ভাবে কোনও একটি বিশেষ ধর্মের শিক্ষা দিলে সেই ধর্মবিশ্বাসকেই পড়ুয়াদের মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যা সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে। হাইকোর্ট ১৮ আগস্টের মধ্যে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে কী হয়, তা জানতে আপাতত পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.