সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) ধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়ার পরে প্রশ্ন উঠেছিল, মারাত্মক অপরাধে দোষীদের মুক্তি কেন? উত্তরে গুজরাট (Gujarat) সরকার জানিয়েছিল, জেলে বন্দিদের ভাল ব্যবহারের কারণে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই ভাল ব্যবহার ঠিক কেমন? তা জানাতে অস্বীকার করল মোদি-শাহ’র রাজ্য। এই বিষয়ে আরটিআই (RTI) আইনে মামলা হলে তার জবাবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা যাবে না, সাফ জানাল গুজরাট সরকার।
২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৫ আগস্ট গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরেই দেশজুড়ে অসন্তোষের হাওয়া বইতে শুরু করে।
জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালের সাজা মকুব করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। চলতি বছরের মে মাসের সেই সিদ্ধান্তের জেরেই আগস্ট মাসে ১১ জন ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সেই সময়ে রাজ্যের তরফে বলা হয়, জেলে ভাল ব্যবহারের কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বন্দিদের। সেই ভাল ব্যবহারে খতিয়ান চেয়ে তথ্যের অধিকার আন্দোলনের কর্মী পঙ্কটি যোগ (Pankti Jog) আরটিআই আইনে মামলা করেন। এদিন গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হল, বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা সম্ভব না।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া গুজরাট সরকারের হলফনামা থেকেই জানা গিয়েছে, বিলকিস ধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন যখন প্যারোলে জেলের বাইরে ছিল, সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। দু’জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছিল। এমনকী ১১ জনের মধ্যে ১০ জন প্যারোলের নিয়মভঙ্গ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। নিয়মভঙ্গের জন্য বেশ কয়েক জন জেলে শাস্তিও পেয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও আদালতের সায়েই অপরাধীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.