Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gujarat Hooch Tragedy

গুজরাট বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি, তথ্য গোপনের অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে

আটজন পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

Gujarat government does not inform the casualty figure of hooch tragedy | Sangbad Pratidin

ছবি:প্রতীকী

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 28, 2022 2:23 pm
  • Updated:August 22, 2022 3:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) বিষমদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি রয়েছেন অনেকেই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নানা সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা লুকাচ্ছে সরকার। এই ঘটনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পরে গুজরাটের দুই এসপিকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ছয় পুলিশকর্মীকে।

গত ২৫ জুলাই বিষমদ (Gujarat Hooch Tragedy) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বোটাড এবং আহমেদাবাদের প্রচুর মানুষ। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৯৭ জন। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বোটাডের এসপি করণরাজ বাঘেলা এবং আহমেদাবাদের এসপি বীরেন্দ্রসিং যাদবকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উচ্চপদস্থ ছয় পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাত্রকে দিয়ে গা-হাত টেপাচ্ছেন শিক্ষিকা, যোগীরাজ্যের সরকারি স্কুলের ভিডিও ভাইরাল]

এহেন পরিস্থিতিতে আঙ্গুল উঠছে গুজরাট সরকারের দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সূত্রের মতে, অনেকেই পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্য করে ফেলেছেন। তাঁরা মনে করেছেন স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু ভরতি করার আগেই মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের। ফলে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা মনে করছেন স্বাভাবিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ময়না তদন্ত না করেই পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, নানা গ্রামে গিয়ে মানুষের অসুস্থতার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। পেট ব্যথা বা বমির সমস্যা রয়েছে কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্য খুঁজছে তারা। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, মৃতের সংখ্যা চাপা দিতেই পুলিশ এমন কাজ করছে কিনা। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা করতে চেয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। তিনি বলেছিলেন, ড্রাই স্টেট হওয়া সত্বেও বিষমদ বিক্রি হচ্ছিল কী করে? এই প্রসঙ্গে সরকারের জবাব চান তিনি। কিন্ত জবাব দেওয়ার বদলে তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: দলের কর্মসূচিতে বাদ দেওয়া যাবে না জনপ্রতিনিধিদের, BJP নেতাদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে কড়া বার্তা দিল্লির

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement