সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসহ্য পিঠে ব্যথা, সঙ্গে প্রস্রাবে সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুজরাটের (Gujarat) এক ব্যক্তি। চিকিৎসক বলেছিলেন, কিডনিতে পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই বিপত্তি। কিডনি থেকে পাথর সরানোর বদলে গোটা কিডনিই কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিৎসক। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের এই ঘটনার জল গড়াল আদালতে। শেষপর্যন্ত দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তির পরিবারকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
খেদা জেলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রভাই রাভাল। হঠাৎই পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যাও দেখা দেয়। এর পরই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বালাসিনরো শহরের কেএমজি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানকার চিকিৎসক শিবুভাই প্যাটেলকে দেখান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানান, দেবেন্দ্রভাইয়ের কিডনিতে ১৪ মিলিমিটার লম্বা পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।
চিকিৎসক তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। সে কথা তিনি শোনেননি। ওই হাসপাতালেই অস্ত্রোপচার করার জেদ ধরেন। চিকিৎসকও রাজি হয়ে যান। ২০১১ সালে মে মাসে তাঁর অপারেশন হয়। অস্ত্রোপচারের সময় পাথরের বদলে পুরো কিডনিটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের দাবি, রোগীকে বাঁচাতে কিডনি বাদ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে প্রথমে রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি। চার মাস পরে নতুন করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই কিডনি বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিৎসা চলাকালীন দেবেন্দ্রভাইয়ের মৃত্যুও হয়।
এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন দেবেন্দ্রভাইয়ের স্ত্রী। মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইনি টানাপোড়েনের পর হাসপাতালকে ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.