সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে বেসামাল দেশ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও জিএসটি (GST) বাবদ রেকর্ড আয় করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry) শনিবার এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। এই তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলছে, অর্থনৈতির অবস্থা পুনরুদ্ধারের। গত বছরের লকডাউনের সময় থেকে গভীর সংকটে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি।
প্রসঙ্গত, গত মার্চে জিএসটি বাবদ আয় ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে একলাফে অনেকটাই বেড়েছে আয়। শতাংশের হিসেবে ১৪ শতাংশ। যা অনেকটাই বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে এটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ মাসিক আয়। এর মধ্যে কেন্দ্রের ভাগে জমা পড়েছে ২৭ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। রাজ্যগুলি থেকে জমা পড়েছে ৩৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। এছাড়াও আমদানিকৃত পণ্যের উপর জিসটি থেকে আয় ৬৮ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সেস বাবদ আয় ৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গত সাত মাস ধরেই জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের আয় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরেই রয়েছে। এবং তা ক্রমান্বয়ে বেড়েও চলেছে। যা থেকে পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলছে ভারত ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে। পাশাপাশি জিএসটি বাবদ আয়বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, ভুয়ো বিলের উপরে নজরদারি থেকে সমস্ত নথির যথাযথ হিসেব মিলিয়ে নেওয়ার মতো নানা পদক্ষেপের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি সামগ্রিক ভাবে জিএসটি দপ্তরের পাশাপাশি আয়কর দপ্তর ও শুল্ক দপ্তরের কড়া ভাবে নজরদারি চালানোর কথাও বলা হয়েছে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতেও যেভাবে দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিকঠাক সময়ে রিটার্ন ফাইল করেছেন ও নিজেদের বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দিয়েছেন তারও প্রশংসা করেছে অর্থমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.