সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২১২টিরও বেশি পণ্যের উপর জিএসটি কমেছে একমাস হতে চলল। কিন্তু গ্রাহকরা আদৌ কোনও সুফল পেলেন কি? এবার কেন্দ্রেরই একটি রিপোর্ট বলছে, ‘না’! ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস বা FMCG সেক্টরে দেদার লোক ঠকানো চলছে। ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস বা এমআরপির উপরেও জিএসটির নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। ঠকছেন গ্রাহক, কমছে বিক্রিবাট্টা। মার খাচ্ছেন সৎ ব্যবসায়ীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা বি এন দীক্ষিত বলছেন, ‘আগামী ১৫ ডিসেম্বর সংসদে এই বিষয়টি তুলে ধরা হবে। তখনই অসাধু ব্যবসায়ীদের পর্দাফাঁস হবে। দেশে কী বলছে আমরা জানি। জিএসটি ধরেই এমআরপি ঠিক করা হয়। কিন্তু প্রতিটি রাজ্য থেকেই অভিযোগ পেয়েছি, এমআরপি-র উপরে অতিরিক্ত জিএসটি চাইছেন একাংশের ব্যবসায়ীরা। এটা ধূর্ততা। তাঁরা লোক ঠকাচ্ছেন।’ তিনি এও জানিয়েছেন সামগ্রিক দেশের ছবিটা কিন্তু মোটেও এরকম নয়। অনেক সৎ ব্যবসায়ীই একগুচ্ছ পুরনো করের বদলে একটিমাত্র কর বা জিএসটি লাগু হওয়ার সুবিধা নিচ্ছেন। তাঁরা আগের চেয়েও কম দামে পণ্য তুলে দিচ্ছেন ক্রেতাদের হাত। তাঁদের বিক্রিও বেড়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর জিএসটি কাউন্সিল ১৭৭টি পণ্যের উপর ২৮% করের বোঝা কমিয়ে ১৮% বা তারও নিচে নামিয়ে আনে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাঁরা পুরনো হারেই বেশি দাম নিচ্ছেন জিএসটির নামে তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে একটি মনিটরিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রত্যেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর পুরনো এমআরপি সরিয়ে নতুন এমআরপি বসানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উৎপাদনকারী সংস্থাকে। এক সরকারি কর্তা বলছেন, বিক্রেতাদের উচিত, নতুন ও পুরনো দামের হেরফেরটা মানুষের সামনে তুলে ধরা। অনেক বিক্রেতাই যে কর কমানো পুরনো, বেশি দামেই জিনিসপত্র বিক্রি করছেন, সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ নভেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ঠিক হয়, মাত্র ৫০টি দ্রব্যে পণ্য ও পরিষেবা কর ২৮ শতাংশ থাকবে। বাকি ১৭৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে জিএসটি ২৮ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়। করের বোঝা কমায় চিওয়িং গাম, চকোলেট, আফটার শেভ, ডিওডরেন্ট, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, মার্বেলের দাম কমে। শুধুমাত্র বিলাসবহুল দ্রব্যর উপরই ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়ে যায়। তার মধ্যে রয়েছে ওয়াশিং মেশিন, এসি, রং, সিমেন্টের মতো পণ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.