নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনা নিয়ে আন্দোলনের রেশ এবার জিএসটি কাউন্সিলের (GST Council) বৈঠকেও। রাজ্যের অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সামনেই রাজ্যের ‘প্রাপ্য’ মেটানোর দাবিতে সরব হলেন। চন্দ্রিমার বক্তব্য, কেন্দ্র বা জিএসটি কাউন্সিল যখন কর সংক্রান্ত কোনও পরিবর্তন করে, রাজ্য সেটা মেনে নেয়। অথচ, সেই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চন্দ্রিমা (Chandrima Bhattacharya) এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বলেন,”আমি জানি এটা এই বক্তব্য রাখার সঠিক মঞ্চ নয়। কিন্তু, বাংলা সবসময় আপনাদের জন্য কর সংগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। তাই জিএসটি (GST) কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা যদি গরিব বিরোধী না হয়, আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আমি নিশ্চিত আপনিও বাংলার ১০০ দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাংলার প্রাপ্য টাকা বরাদ্দ করে দিয়েছেন। কিন্তু গত দু বছর ধরে বাংলার শ্রমিকেরা সেই টাকা থেকে বঞ্চিত।”
নির্মলার (Nirmala Sitharaman) সামনেই চন্দ্রিমা বলেন, “রাজ্যের মনরেগা শ্রমিকদের একটা বড় অংশ মহিলা। তাঁরা কাজ করেছেন। টাকা পাওয়ার জন্য যা যা করার, সবটাই করেছে। আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার জন্যও যা যা প্রয়োজন, সব করেছে। তাও গত দুবছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। জিএসটি কাউন্সিলে রাজ্যের প্রতিনিধির এই দাবির পালটা কোনও জবাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেননি।”
উল্লেখ্য, এদিন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে মিলেটের আটার খাবার, বাজরার আটা এবং গুড়ের উপর জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যেটা ছিল ১৮ শতাংশ। বাজরার আটার ক্ষেত্রে সেটাই এবার একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫ শতাংশে। সেই সঙ্গেই গুড়, ডিসটিলড অ্য়ালকোহল( Distilled Alcohol) বা পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত অ্যালকোহল থেকে জিএসটি কর লাঘব করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.