সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে গিয়ে নাম না করেই চিনকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরোক্ষে বেজিংকে তুলোধোনা করে নমো বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদের দিন শেষ, এখন বিকাশবাদের যুগ চলছে।’ তা, নাম না করলেও ইঙ্গিত বুঝে উঠতে চিনের বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তারপরই মোদির মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে কমিউনিস্ট দেশটি।
#China has demarcated boundary with 12 of its 14 neighboring countries through peaceful negotiations, turning land borders into bonds of friendly cooperation. It’s groundless to view China as “expansionist”, exaggerate & fabricate its disputes with neighbours.
— Ji Rong (@ChinaSpox_India) July 3, 2020
এদিন, নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং একটি বিবৃতিতে বলেন, “১৪টির মধ্যে ১২টি প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সীমান্ত চিহ্নিত করেছে চিন৷ সীমান্তকে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার বন্ধনে পরিণত করা হয়েছে৷ বেজিংকে সাম্রাজ্যবাদী বলা ভিত্তিহীন৷ এটা চিনের সঙ্গে তাদের প্রতিবেশীদের বিবাদকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়৷”
আজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত ছাউনিতে সেনাকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার কাকভোরে উত্তেজনার আবহেই লাদাখে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। লেহ থেকে সেনার চপারে করে নিমুতে ফরোয়ার্ড পোস্টে পৌঁছন মোদি। তাঁর সঙ্গী ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত (General Bipin Rawat) ও সেনাপ্রধান মনোজমুকুন্দ নারাভানে (Lt. General MM Naravane)। এদিন সেনাছাউনিতে সেনা, বায়ুসেনা এবং ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের আধিকারিক ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে জওয়ানদের মনোবল বাড়ান মোদি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে লাদাখে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সাফ করে দেন যে গালওয়ান উপত্যকা ভারতের অংশ। সেদিকে নজর দিলে জবাব কীভাবে দিতে হয় তা ভারত জানে। অর্থাৎ, চিনকে (China) সীমান্তে সমঝে চলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোদি। সেই বার্তাও স্পষ্ট পৌঁছে গিয়েছে বেজিংয়ের কানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.