ছবি:প্রতীকী
দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: নতুন বছরের আগেই সুখবর পেতে পারেন চাকরিজীবীরা। গ্র্যাচুইটির সুবিধা পাওয়ার ন্যূনতম চাকরির সময় পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করতে পারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, গ্র্যাচুইটির নিয়মে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র।
বর্তমানে পাঁচ বছর টানা এক সংস্থাতে কাজ করলে তবেই গ্র্যাচুইটি পান একজন কর্মী। চাকরি শেষে অবসর জীবনে একজন মানুষের হাতে দু’টি সম্বল থাকে। একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যটি গ্র্যাচুইটি। কিন্তু পাঁচ বছরের আগে সংস্থা বদল করলে কর্মীরা গ্র্যাচুইটির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতরা। কারণ, সরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের সংস্থা বদলানোর ঘটনা নগণ্য। তাই চাকরিজীবীদের কথা ভেবেই গ্র্যাচুইটি ফান্ড তৈরির সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করার কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক। জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের জন্য মন্ত্রক ‘কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০১৯’-এর খসড়া পাবলিক ডোমেনে প্রকাশ করেছে। এরপর সেটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই সেটি বিল আকারে সংসদে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্র সরকার গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকা করেছে। ‘কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি-২০১৯’-এর খসড়ায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের আটটি ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়ে কিছু সংশোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত সংশোধনীর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও কর্মাচারীর বার্ধক্যে বা চাকরির মাঝপথে ইস্তফায় বা অবসর গ্রহণে বা চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুতে বা কোনও কারণে কর্মক্ষম হয়ে পড়লে বা চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশানুসারে কোনও প্রকল্পে পাঁচ বছরে তার পরিষেবা সম্পূর্ণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাঁকে গ্র্যাচুইটি দিতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক বছরের পরিষেবা বা ছয় মাসের বেশি পরিষেবা দেওয়া কর্মীকে ওই সংস্থা ১৫ দিনের হারে বা কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট করা হিসাবে গ্র্যাচুইটি দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.