ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের পোর্শে দুর্ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন অভিযুক্ত নাবালকের দাদু। জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনার পরে নাবালককে বাঁচাতে গাড়ির ড্রাউভারের উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল গোটা পরিবার। সেই জন্য নিজেদের বাংলোয় আটকে রাখা হয়েছিল গাড়ির চালককে। অপহরণের অভিযোগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাবালকের দাদুকে।
পুণের (Pune) পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, দুর্ঘটনার পরে অভিযুক্ত নাবালকের পরিবার চেয়েছিল, গোটা ঘটনার দায় নিক পোর্শে গাড়ির চালক। তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে একটি বাংলোয় আটকে রেখেছিলেন নাবালকের বাবা ও দাদু। চালককে বলা হয়, দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিতে হবে। তবে সময়মতো পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হবে বলেও চালককে আশ্বাস দেয় নাবালকের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯ ও ২০ মে নাবালকের পারিবারিক বাংলোয় আটকে রাখা হয়েছিল চালককে। পরে তাঁর স্ত্রী গিয়ে চালককে বাংলো থেকে উদ্ধার করেন। মুক্তি পেয়েই নাবালকের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চালক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নাবালকের বাবা ও দাদুর বিরুদ্ধে আলাদা করে তদন্ত শুরু করে ইয়েরওয়াড়া পুলিশ। অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় নাবালকের দাদু সুরেন্দ্র কুমার আগরওয়াল।
উল্লেখ্য, পুণের ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনা শুরু হয় নাবালক চালকের দাদুকে নিয়ে। শোনা যায়, অভিযুক্ত কিশোরের দাদুর বিরুদ্ধে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে খুনের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের দাবি, আর্থিক কারণে ভাইয়ের সঙ্গে নাবালকের দাদুর বিবাদ ছিল। সেই বিবাদ থেকেই ওই ব্যক্তি তাঁর ভাইয়ের সহকর্মী অজয় ভোঁসলেকে খুনের পরিকল্পনা করেন। তার জন্য সরাসরি ছোটা রাজনকে সুপারি দিয়েছিলেন। এরপরেই গুণ্ডা দিয়ে অজয় ভোঁসলের উপর গুলি চালানো হয়। তবে মামলার মাস্টারমাইন্ড ও কথিত সুপারি কিলারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.