ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জরে স্তব্ধ অর্থনীতিকে পুনরায় গতিময় করতে প্রয়োজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ। লকডাউনের জেরে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্ধ বহু পণ্যের উৎপাদন। এখনই এর প্রভাব সরাসরি অর্থনীতিতে না পড়লেও আগামী দিনে মারাত্মক পরিনণতি হতে পারে। লকডাউন শেষ হলে চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাক তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (Small and Medium Enterprise) পুনরুজ্জীবিত করতে বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এমনটাই দাবি।
ওই সংবাদ মাধ্যম বলছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য কেন্দ্র ৫০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। মুশকিল হল, লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের জন্য ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। তার উপর যদি আরও ৫০ থেকে ৭৫ হাজার কোটির প্যাকেজ দিতে হয় তাহলে রাজকোষের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যাবে। তাই প্রয়োজনে জ্বালানি-সহ বেশ কিছু পণ্যের উপর অতিরিক্ত সেস (cess) বসাতে পারে অর্থমন্ত্রক। অর্থাৎ, বেশ কিছু পণ্যের জন্য সাধারণ মানুষকে বাড়তি মুল্য দিতে হবে। যদিও, পুরো বিষয়টিই এখনও পরিকল্পনার স্তরে আছে।
আপাতত সরকারের প্রাধান্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করা এবং লকডাউনের সময় গরিব মানুষকে যাতে না খেতে পেয়ে মারা যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করা। তারপর ভাবা হবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা। এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”প্রথম দুটি বিষয় নজর রাখার বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দিয়ে দেখছি। তবে, জীবন বাঁচানোর মতো অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই একটি আর্থিক প্যাকেজ অবশ্যই ঘোষিত হবে। লকডাউনের সময়সীমা বাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেই তা ঘোষণা করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.