সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ যে স্তরে রয়েছে টিকা ছাড়া গতি নেই। তাই দেশীয় টিকা ছাড়াও বিদেশের ভ্যাকসিন ভারতে মজুত রাখতে চাইছে মোদি সরকার। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন সংস্থা ফাইজারের (Pfizer Inc) সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনা করছে ভারত। গত সপ্তাহেই অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ট্রায়াল রিপোর্টের পর এবার ফাইজার টিকার ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের ফাইজারের টিকার স্কোরকার্ড ভাল।
জার্মান বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োএনটেকের (BioNTech SE) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোর্ডানার মতো আরএনএ টেকনোলজিতে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করেছে ফাইজার। ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা জানান, তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চালাচ্ছে ফাইজার। অক্টোবরের মধ্যে ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির কাছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করতে হবে। টিকার ট্রায়ালের ফলাফল, মানুষের শরীরে এর প্রভাব, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা বা হলেও কতদিন স্থায়ী ছিল, ইত্যাদি নানা বিষয় খুঁটিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই টিকা মানুষের শরীরে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে হলেই ক্লিনচিট দিয়ে দেবে রেগুলেটরি কমিটি। তাহলে অক্টোবরেই প্রথম দফায় ভ্যাকসিনের ডোজ চলে আসবে বাজারে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ফাইজারের কর্তাদের সঙ্গে সরকার প্রাথমিক কথাবার্তা বলেছে। ওই সংস্থাটির সঙ্গে এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। তবে, চুক্তির সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়া যাচ্ছে না। আপাতত ফাইজার বিশ্বের পাঁচটি জায়গায় এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয়নি। তবে সরকার চাইছে ভারতেও ফাইজারের টিকা উৎপন্ন হোক। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে দেশে অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দুটি দেশীয় টিকার ট্রায়ালও পুরোদমেই চলছে। সরকার চাইছে ফাইজারকেও ভারতের বাজারে আনতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.