সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজারে উপচে পড়ছে কয়েন। নিতে চাইছেন না ব্যবসায়ীদের একাংশ। এই অবস্থায় কয়েন তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল মোদি সরকার। রটে যায়, নোটের পর এবার বাতিল হতে পারে কয়েনও। কিন্তু দেশবাসীকে আপাতত খানিকটা স্বস্তি দিয়ে এবার ফের কয়েন তৈরির কাজ শুরু করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক দেশের চারটি ট্যাঁকশালেই কয়েন তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এখনই পুরোদমে নয়, বরং খানিকটা ধীরগতিতেই শুরু হয়েছে কাজ।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SPMCIL)-এর কলকাতা, মুম্বই, নয়ডা ও হায়দরাবাদের চারটি ট্যাঁকশালেই শুরু হয়েছে কয়েন উৎপাদন। এক, দুই, পাঁচ ও দশ টাকার কয়েন তৈরির কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে। অবশ্য এখনই দ্রুতগতিতে নয়, খানিকটা ঢিমেতালেই চলছে কয়েন তৈরির কাজ। কাজ হচ্ছে একটি শিফটে। সাধারণত এই টাঁকশালগুলিতে দুই শিফটে কাজ হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ক্যালকাটা মিন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজন দে জানিয়েছেন, শনিবার থেকে কয়েন উৎপাদনের কাজ ফের শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, খোলা বাজারে কয়েনের চাহিদা কমছে। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা খুচরোয় অনীহা সকলের৷ ব্যাঙ্কের থেকেও খুচরো ফেরানোর অভিযোগ এসেছে৷
এখন প্রশ্ন হল, এত কয়েন রাখা হবে কোথায়? সরকারের ভাঁড়ার প্রায় উপচে পড়ছে। ২০১৭-১৮ আর্থিকবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সরকারি টাঁকশালে ৭,৭১২ মিলিয়ন কয়েন উৎপাদনের বরাত দেয় যার মধ্যে ৫৯০০ মিলিয়্ন কয়েন ইতিমধ্যেই তৈরি। সরকারি কোষাগারে অতিরিক্ত প্রায় ২,৫২৮ মিলিয়ন কয়েন পড়ে রয়েছে এখনও। গত ৯ জানুয়ারি কয়েন উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। যুক্তি দেখানো হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কয়েন রাখার জায়গার অভাব পড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নির্দেশ ভালভাবে নেননি টাঁকশালের কর্মীরা। তাঁরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন। আতঙ্ক ছড়ায় দেশের বাজারেও। কিন্তু আপাতত সকলকে স্বস্তি দিয়ে শনিবার থেকে ফের শুরু হয়েছে কয়েন উৎপাদন। খানিকটা নিশ্চিন্ত ট্যাঁকশালের কর্মীরাও। কারণ, কয়েন উৎপাদন বন্ধ হলে তাঁদের বেতনেও প্রভাব পড়তে পারে ভেবে আতঙ্কে ছিলেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.